বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত
-
আপডেট সময় :
শুক্রবার, ৭ মে, ২০২১
-
২২৫
০ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সেমিস্টার ও ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা অনলাইনে নেয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্তক্রমে এ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হবে। তবে এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) গাইডলাইন অগ্রাধিকার দিতে হবে। বৃহস্পতিবার সংস্থাটির (ইউজিসি) সঙ্গে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শিক্ষাজীবনের ক্ষতি রোধে সরকার অপরিহার্য পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেয়ার চিন্তা করেছে। এর অংশ হিসাবে সম্প্রতি দুটি কমিটি গঠন করা হয়। এর একটি ছিল উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত। অপরটি ছিল এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে প্রধান করে গঠিত দ্বিতীয় কমিটির দুটি বৈঠক ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। কমিটি এখন সুপারিশ তৈরির কাজ করছে। তবে অবকাঠামোগত বাস্তবতা বিবেচনায় এ কমিটি অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে সম্মত হতে পারেনি বলে জানা গেছে। আর প্রথম কমিটির সুপারিশই ইউজিসির বৈঠকে বৃহস্পতিবার উপস্থাপন করা হয়। সেখানেই ইউজিসি প্রস্তাবিত ৭ দফার গাইডলাইন তুলে ধরে। এটি এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পরিপত্র আকারে জারির লক্ষ্যে পাঠানো হবে। ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম এ কমিটির আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
জানতে চাইলে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, দীর্ঘ ছুটির কারণে ইতোমধ্যে ছাত্রছাত্রীদের দুটি সেমিস্টার পরীক্ষা হয়নি। হিসাব অনুযায়ী আরেকটি সেমিস্টার পরীক্ষা দু-এক মাসের মধ্যে হওয়ার নিয়ম আছে। অন্যদিকে করোনার বিদ্যমান পরিস্থিতি ঠিক কতদিনে উন্নতি লাভ করবে, কিংবা করোনার প্রভাব থেকে মানবজীবন কতদিনে মুক্ত হবে তা নিশ্চিত নয়। এমন পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের স্থগিত পরীক্ষা শেষ করে নতুন পাঠদান শুরু করা জরুরি। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় গঠিত কমিটির গাইডলাইন অনুসরণের জন্য আমরা অনুরোধ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরীক্ষাসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত তাদের একাডেমিক কাউন্সিলেই চূড়ান্ত করবে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা তাদের ছাত্রছাত্রীরা অনলাইনে পরীক্ষা নিতে না চাইলে সেই স্বাধীনতা তাদের আছে। এ ক্ষেত্রে পরিস্থিতি উত্তরণের পর সরাসরি পদ্ধতিতে তারা পরীক্ষা নিতে পারবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও এ সংক্রান্ত আলাদা উদ্যোগ শিগগিরই নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা : জানা গেছে, পরীক্ষাসংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের কমিটিতে ১৫ সদস্য কাজ করেন। এ কমিটি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড ও ব্রিস্টলসহ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, ভারত, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও মঞ্জুরি কমিশন বা উচ্চশিক্ষাসংক্রান্ত সংস্থাগুলোর করোনাকালে পরীক্ষা পদক্ষেপ আমলে নিয়ে সুপারিশ তৈরি করে। কমিটির মূলত প্রতিবেদন ৫ পৃষ্ঠার। ৩২ পৃষ্ঠাই সংযুক্তি। ৭ দফা প্রস্তাব হচ্ছে, যে কোনো বিষয়ের তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক পাঠদান (ইনপারসন/অনলাইনে) সম্পন্ন হওয়ার পর কালক্ষেপণ না করে তার চূড়ান্ত মূল্যায়ন (ইনপারসন/অনলাইনে) সম্পন্ন করতে হবে। তবে যে সব ব্যবহারিক কোর্স হাতে-কলমের কাজ ছাড়া পরীক্ষা সম্পন্ন করা সম্ভব নয়, তা অবশ্যই সুবিধাজনক সময়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে (ইনপারসন বা সরাসরি) ক্লাসে সম্পন্ন করতে হবে। যে কোনো মূল্যায়নে পাশ/ফেল পদ্ধতি এক সেমিস্টার বা দুই সেমিস্টারে করা হলেও দীর্ঘমেয়াদিতে এ মূল্যায়ন কখনো শিক্ষার্থীর সঠিক মূল্যায়ন নিশ্চিত করে না এবং এটা করা সমীচীন নয়। বিধায় মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সব বিষয়ের বিপরীতে শিক্ষার্থীর সত্যিকারের মেধা ও মূল্যায়নের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে চলমান পদ্ধতি ও স্কেলে গ্রেড দিতে হবে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের জন্য উপযোগী অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার সুস্পষ্ট পদ্ধতি গ্রহণ করবে এবং বাস্তবতার নিরিখে ছয়টি বিষয় অনুসরণ করবে। এগুলো হচ্ছে- নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট সংযোগ ও স্পিড, ডিজিটাল ডিভাইস ও ডিজিটাল টুল, প্রশ্ন সেটিংস, অসাধু পন্থা অবলম্বন মোকাবিলা এবং আন্তর্জাতিকভাবে ফলাফলের গ্রহণযোগ্য। প্রস্তাব অনুযায়ী চারটি পদ্ধতি অনুসরণ করে যে কোনো তত্ত্বীয় বিষয় এবং হাতে-কলমে কাজ করার প্রয়োজন নেই। এমন ব্যবহারিক বিষয়ে চূড়ান্ত নম্বর/গ্রেডিং অনলাইনে পরীক্ষা নিয়ে প্রদান করা যেতে পারে। এগুলো হচ্ছে- সৃজনশীল কাজ, সৃজনশীল কুইজ/বিভিন্ন সেটের বহু নির্বাচনী প্রশ্নমালা (এমসিকিউ), সময়াবদ্ধ শ্রেণি পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষা।
প্রস্তাবে বলা হয়, ব্যবহারিক ক্লাসের বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্টের ভিডিও সংশ্লিষ্ট বিভাগের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের ইমেইলে এক্সপেরিমেন্টের পুরনো ডাটা প্রেরণ করতে হবে। শিক্ষার্থীরা এসব ডাটা অ্যানালাইসিস করে সংক্ষিপ্ত রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে পাঠাবে। ল্যাবভিত্তিক নয় এমন থিসিস/প্রজেক্ট অনলাইনে সুপারভাইজ করা যেতে পারে। ল্যাবভিত্তিক থিসিস/প্রজেক্টের সুপারভিশন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইনপারসন বা অনলাইনে হতে পারে। থিসিস/প্রজেক্টের হার্ডকপি গৃহীত হওয়ার পর অনলাইনে ভাইভা নেয়া যেতে পারে; অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট প্রাপ্যতা ও প্রয়োজনীয় স্পিড নিশ্চিত করা দরকার। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাতে পারে।
ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর যুগান্তরকে বলেন, অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে ইতোম
Like this:
Like Loading...
নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
Leave a Reply