1. mdshuvo11167@gmail.com : admin :
  2. faysal.rakib2020@gmail.com : Rakibul Hasan : Rakibul Hasan
  3. faisalhowlader1988@gmail.com : Faisal Howlader : Faisal Howlader
বদরের যুদ্ধ; ইসলাম ও জিহাদ - মেহেন্দিগঞ্জ টাইমস ।। Mehendiganj Times
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
মেহেন্দিগঞ্জ রিপোটার্স ইউনিটিতে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া। মেহেন্দিগঞ্জে সহকারী শিক্ষকদের ৩ দফা দাবি আদায়ে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত। বেতন বৈষম্য দূরীকরণ ও ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে মেহেন্দিগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত। মেহেন্দিগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন। নির্বাচিত হলে হিজলায় একটি পৌরসভা গঠনের ঘোষনা দিলেন রাজিব আহসান। মেহেন্দিগঞ্জের দক্ষিণ উলানিয়ায় বিএনপির কেন্দ্র কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। বরিশাল -৪ আসনে বিএনপির প্রার্থীকে বিজয় করতে মুখিয়ে আছে ধুলখোলার বিএনপি। মেহেন্দিগঞ্জে গ্রাম আদালত আরও গতিশীল ও কার্যকর করতে কর্মশালা। মেহেন্দিগঞ্জে বিরোধপূর্ণ জমির গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। মেহেন্দিগঞ্জে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে নজর কেড়েছে সদর ইউনিয়ন ফরিদের নেতৃত্বে মিছিল।
সংবাদ শিরনাম :
মেহেন্দিগঞ্জ রিপোটার্স ইউনিটিতে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া। মেহেন্দিগঞ্জে সহকারী শিক্ষকদের ৩ দফা দাবি আদায়ে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত। বেতন বৈষম্য দূরীকরণ ও ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে মেহেন্দিগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত। মেহেন্দিগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন। নির্বাচিত হলে হিজলায় একটি পৌরসভা গঠনের ঘোষনা দিলেন রাজিব আহসান। মেহেন্দিগঞ্জের দক্ষিণ উলানিয়ায় বিএনপির কেন্দ্র কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। বরিশাল -৪ আসনে বিএনপির প্রার্থীকে বিজয় করতে মুখিয়ে আছে ধুলখোলার বিএনপি। মেহেন্দিগঞ্জে গ্রাম আদালত আরও গতিশীল ও কার্যকর করতে কর্মশালা। মেহেন্দিগঞ্জে বিরোধপূর্ণ জমির গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। মেহেন্দিগঞ্জে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে নজর কেড়েছে সদর ইউনিয়ন ফরিদের নেতৃত্বে মিছিল।

বদরের যুদ্ধ; ইসলাম ও জিহাদ

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩২৩ ০ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

এম মনির চৌধুরী রানা

আজ থেকে ১৩৯৬ বছর আগে, যে বছর মদিনায় প্রথম সিয়াম তথা মাহে রমজান পালিত হয়, ২য় হিজরি সালের ১৭ই রমজান, মোতাবেক ৬২৫ খ্রিস্টাব্দের ১৭ মার্চ ইসলামের ইতিহাসের প্রথম আত্মরক্ষামূলক সশস্ত্র জিহাদ ‘বদরের যুদ্ধ’ অনুষ্ঠিত হয়।

ইসলামের বিজয় পতাকা উড্ডীন হয়েছিল বলে এ দিবসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনকেই আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন হক্ব ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্য নিরুপনকারী দিন বানিয়ে দিয়েছিলেন।

ইসলামের এই সশস্ত্র জিহাদ যা মদীনার উপকন্ঠে বদর নামক পানির স্থানের কাছে সংঘটিত হয়েছিল। এখানে উল্লেখ্য যে বদর প্রান্তর মদীনা শরীফের নিকটেই অবস্থিত।

এ থেকে বুঝা যায়, রাসুলুল্লাহ ﷺ মক্কার কাফেরদেরকে ধ্বংস করার জন্য মক্কার উপকন্ঠে যান নাই। বরং মক্কার কাফেররা মদীনা সনদের মাধ্যমে নব্য প্রতিষ্ঠিত মদীনা সাম্রাজ্যকে ধ্বংস করার জন্য এগিয়ে এসেছিল। তাই বদরের যুদ্ধ ছিল আত্মরক্ষামুলক।

আমাদের প্রিয় নবীজী ﷺ দুনিয়াতে থাকাবস্থায় ইসলামের প্রায় সবকটি বড় বড় যুদ্ধই ছিল আত্মরক্ষামুলক। কাজেই ইসলাম আক্রমনাত্মক ধর্ম নয়, যুদ্ধবাজ ধর্ম নয় এবং ইসলাম কাউকে ধ্বংস করার জন্য উদ্যত হয় না। কিন্তু যদি কোন বহিরাগত শত্রু আক্রমণ করে তবে ইসলাম কাপুরুষের ধর্মও নয় বরং ধৈর্য্যের মাধ্যমে সাহসিকতার সাথে আত্মরক্ষামূলক লড়ে যাওয়ার ধর্ম আমাদের ইসলাম।

বদর যুদ্ধে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে মুসলমানদের জন্য প্রত্যক্ষ সাহায্য নাজিল হয়েছিল। যেমনটা পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছেঃ
وَلَقَدْ نَصَرَكُمُ اللَّهُ بِبَدْرٍ وَأَنتُمْ أَذِلَّةٌ ۖ فَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
বস্তুতঃ আল্লাহ বদরের যুদ্ধে তোমাদের সাহায্য করেছেন, অথচ তোমরা ছিলে দুর্বল। কাজেই আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হতে পারো। {সুরা আলে ইমরান – ১২৩}

এই যুদ্ধে রাসুলে পাক ﷺএঁর অনেক মুজিযাও প্রকাশ পায়। যেমনটা আল্লাহ পাক সুরা আনফালের ১৭ নং আয়াতে বর্ননা করেছেন,
وَمَا رَمَيْتَ إِذْ رَمَيْتَ وَلَٰكِنَّ اللَّهَ رَمَىٰ
“…আর আপনি মাটির মুষ্ঠি নিক্ষেপ করেননি, যখন তা নিক্ষেপ করেছিলেন, বরং তা নিক্ষেপ করেছিলেন আল্লাহ স্বয়ং …”

নবী করীম ﷺ কে জিবরাইলল (আলাইহিস সালাম) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি এক মুষ্ঠি মাটি নিয়ে কাফিরদের প্রতি নিক্ষেপ করুন। নবী করীম ﷺ তাই করলেন।
তাফসীরে ইবনে কাসীরের মধ্যে এসেছে হজরত আলী (কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহুল কারীম) থেকে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুমা) উপরোক্ত আয়াতের তাফসীরে বর্ননা করেছেন যে, এই ধুলা সকল কাফিরদের চোখে মুখে প্রবেশ করল এবং তারা পিছু হটতে বাধ্য হলো।

এই যুদ্ধ আমাদের জন্য বিশাল শিক্ষা। অল্প সংখ্যক সাহাবায়ে কেরাম যারা সংখ্যায় ছিলেন ৬০ জন মুহাজির ও ২৫৩ জন আনসার সহ মোট ৩১৩ জন মাত্র, তাঁদের অস্ত্র ছিল ৩টি ঘোড়া, ৭০ টি উট, ৬টি বর্ম ও ৮টি তালোয়ার যা কাফেরদের অস্ত্রের তুলনায় খুবই অল্প। অপরদিকে মক্কার কাফিরদের সংখ্যা ছিল ১০০০ এবং তাদের অস্ত্র, ঘোড়া ও সাজ সরন্জামও ছিল বিস্তর।

কিন্তু সাহাবায়ে কেরামগন ছিলেন তাকওয়া (আল্লাহর ভীতি)’র বলে বলীয়ান এবং আল্লাহ পাক ও তাঁর রাসুল করীম ﷺএঁর প্রতি বিশ্বাস ছিল অটুট। আল্লাহর সাহায্যের উপর তাঁদের অগাধ আস্থা ছিল। সবচাইতে বড় কথা তাঁরা জিহাদ করেছিলেন আল্লাহর কালিমাকে সর্বোচ্চে তুলে ধরার জন্য, আল্লাহর দ্বীনকে দুনিয়াতে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। কারো ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য জিহাদ করেন নাই, শক্তিপ্রদর্শন ও শৌর্যবীর্য প্রকাশের জন্যও যুদ্ধ করেন নাই। ইহুদী নাসারাদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তাদের হাতের পুতুল হিসেবে ব্যবহৃত হন নাই, যেমনটা আজকের কিছু নামধারী জিহাদীরা হচ্ছে। তাঁরা রক্তপিপাসু মানসিক বিকারগ্রস্থও ছিলেন না , যেমনটা আজকালকার নামধারী জিহাদীরা হয়ে থাকে। এককথায় তাঁদের একনিষ্ঠা ছিল এবং এজন্যই আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন তাঁদেরকে বিজয়ী করেছেন।

মোটকথা বদরের যুদ্ধই আমাদেরকে শিক্ষা দেয় যে, আমরা যদি একনিষ্ঠা সহকারে সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকি , তবে আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্য অবশ্যম্ভাবী। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত। যে শিক্ষার প্রত্যক্ষ প্রভাব আমরা হজরত সালাহুদ্দিন আইয়ুবীর (রাহিমাহুল্লাহ) মসজিদুল আকসা অর্থ্যাৎ ফিলিস্তিন বিজয়ের মধ্যে দেখতে পাই। যেখানে ইউরোপের বিশাল যৌথবাহিনীকে তাঁর দল পর্যোদস্ত করতে পেরেছিল। উসমানী খলিফা মোহাম্মদ আল ফাতিহের কন্সটান্টিনোপল বা ইস্তাম্বুল বিজয়ের মধ্যে দেখতে পাই, যেখানে ইস্টার্ন রোম সাম্রাজ্যের প্রবল পরাক্রমশালী সিজার পরাজিত হয়েছিল। আবার হজরত খাজা মইনুদ্দীন চিশতী (রাহমাতুল্লাহি তাআলা আলাইহি) এঁর আশীর্বাদপুষ্ঠ মোহাম্মদ ঘুরীর মাঝে ছিল বদরী শিক্ষা। যেই কারনে গুটিকয়েক সৈন্য নিয়ে তাঁরা অত্যাচারী রাজা পৃথ্বীরাজকে পরাজিত করতে পেরেছিলেন। হজরত শাহজালাল মোজাররদ ইয়ামেনীর(রাহমাতুল্লাহি তাআলা আলাইহি) আশির্বাদপুষ্ঠ হজরত সৈয়দ নাসিরুদ্দীন সিপাহসালার ও সিকান্দর খান গাজীর (রাহীমাহুমুল্লাহ) সিলেট ও হবিগন্জ বিজয়ের মধ্যে ছিল বদরের যুদ্ধের প্রত্যক্ষ প্রভাব। যেখানে অত্যাচারী রাজা গৌড় গোবিন্দ পরাজিত হয়েছিল। ঠিক একইভাবে যখন ফ্রান্সের রাজা নবম লুইস মিশর আক্রমন করে তখন হজরত ইমাম আবুল হাসান আশ শাজেলী (রাহিমাহুল্লাহ, যিনি শাজেলীয়াহ তরীকার ইমাম ছিলেন) এবং তাঁর শিষ্য ইমাম ইজ্জুদ্দিন ইবনে আব্দুস সালাম (রাহিমাহুল্লাহ) দের মাঝে দেখা গিয়েছিল বদরী শক্তির প্রভাব। যারা নবম লুইসকে পরাজিত করে মিশরের মনসুরা শহরে বন্দি করে রেখেছিলেন। আলজেরিয়ার মর্দে মুজাহিদ শায়খ হজরত আব্দুল কাদীর আল জাযায়েরীর (রাহীমাহুল্লাহ) মাঝে ছিল সঠিক বদরী শিক্ষা , যিনি ফ্রান্সের প্রবল পরাক্রমশালী শক্তির বিরুদ্ধে লড়ে গেছেন। বৃটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে পাকভারত বাংলাদেশের ওলী আউলিয়া পীর মাশায়েখগন এবং হক্বপন্থি আলিম উলামাগন ছিলেন বদরী শক্তিতে বলীয়ান।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ

পুরাতন সংবাদ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।     Design & Development : It Corner BD.Com 01711073884.  
Theme Customized By BreakingNews