প্রতিনিয়ত পুলিশের বেশ আনাগোনা দেখা যায় পাড়া-মহল্লার সড়কের আসে-পাশে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনিরুজ্জামান স্যার বলেছিলেন, আপনি সুস্থ থাকলে আপনার পরিবেশ সুস্থ থাকবে আপনার প্রতিবেশী যদি সুস্থ না থাকে তাহলে সমাজ সুস্থ হবেনা যদি সমাজ সুস্থ না থাকে তাহলে দেশ প্রভাবিত হবেই হবে।
আসুন আমরা সবাই মিলে সমাজটাকে বদলে ফেলার চেষ্টা করি।
একজন ভালো মানুষের ক্ষমতার প্রভাবে একজন খারাপ মানুষ সমাজে টিকে থাকে। সমাজে যারা ক্ষমতাধর ও টাকাওয়ালা তারাই সমাজের ভালো মানুষ। সমাজে মধ্যবিত্ত এবং গরিবদের জন্য বেশিরভাগ আইন প্রযোজ্য হয়, এর কারন হলো কালো হাতের খড়ি!
একজন মাদকসাক্ত একা বাস করতে পারে না তাই সে সংঘবদ্ধতা গড়ে তুলতে চায় যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য মারাত্মক ক্ষতির মুখে! প্রভাবিত করতে থাকে।
প্রশাসনের নাগের ডগায় থেকে বর্তমানে পরিস্থিতি এমন হয়ে দাড়িয়েছে যে, কেউ একজন মাদকের কার্যকলাপে কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে; সেটি দেখা যাবেনা, চোখ কান বন্ধ করে রাখতে হবে। যদি এদের কিছু বলতে যান বা সামাজিকভাবে প্রতিবাদ করতে আগ্রহী হোন তবে ঐসকল মাদকাসক্ত এবং মাদক কারবারিদের শত্রুতে পরিনত হতে হয় এবং তাদের আক্রমনাত্মক হুমকিতে ধাবিত হতে থাকে ধীরে ধীরে! এর প্রতিকার কি হতে পারে?
সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি সেও মানুষ। তবে মাদক হলো সার্বজনীন রাষ্ট্র এবং প্রজন্মের শত্রু! যা একটি জাতিকে প্রভাবিত করে প্রজন্মের থেকে প্রজন্মে। মাদক ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ই সমাজের শত্রু, রাষ্ট্রের শত্রু এবং প্রজন্মের শত্রু।
আমাদের প্রতিবেশী ভাই, বন্ধু, আত্মীয় স্বজনরা অনেকেই মাদকের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে; এরা আপনার সমাজের কতোটুকুই সামাজিক ভূমিকা পালন করতে সম্ভবতঃ হবে?
যারা মাদকের সাথে সম্পৃক্ত তারা সমাজের কঠিন ব্যাধি! হোক সে আমার ভাই অথবা সহযোগী বন্ধু।
একজন ব্যাক্তি মাদকাসক্ত হওয়ার পেছনে রয়েছে সামাজিক দায়বদ্ধতা? সমাজের দৃষ্টিকোনের বাইরে গিয়ে কেউ মাদকের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারেনা। কেননা যখন একজন মানুষ মাদকাসক্তের সাথে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলে সে থেকেই ধারণা জন্মায় যে কখনো একজন ভালো মানুষ-একজন মাদকাসক্তের সাথে সম্পৃক্ত হয়না।
তবে সমাজের মধ্যে যারা উচ্চবিত্ত পরিবারের রয়েছে তাদের একক দাপটের সাথে সামাজিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়, প্রশাসনের কোনো ভূমিকা থাকেনা?
অনুসন্ধান করে দেখা যায় যে প্রতি ১জনে দশজন করে মাদকাসক্ত যোগ করছে। যারা দশবছর আগে মাদক সেবন করতো তারা কুয়াকাটা পৌরসভার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে মাদক চালানের সাথে। এরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে তাদের মাদক কারবারি পরিচালনা করছে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনে। এই মাদক চালানের সাথে এলাকার প্রভাবশালী কিছু পরিবারের ব্যাক্তি ও ক্ষমতাসীন কিছু লোকদের দিয়েই মাদকদ্রব্যজাতের মদদদাতা হিসেবে মাদক সেবা পরিচালনা করছে। এরাই সমাজের প্রথম সারির নাগরিক, ক্ষমতাধর এবং এদের প্রভাব সকলের উর্ধ্বে থাকে।
একটি অসামাজিক কার্যকলাপ চলতে থাকলে কোনো ব্যাক্তি জড়িত থাকলে পর্যায়ক্রমে সমাজের মধ্যে ছড়াতে থাকে।
তবে যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করেনা, কৌশলগতভাবে মাদক এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ বা আলোচনা করার সুযোগ থাকেনা কেন? এর কারন তারা সমাজের মধ্যে ভালো মানুষ?
যখন আপনার ভাই মাদকাসক্ত হয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠে তখন আপনি চাইলেও প্রতিবাদ করতে পারবেন না সম্মানের প্রশ্নে! আপনি কি করবেন সে মুহূর্তে? প্রশ্ন থেকে যায়!
কুয়াকাটা পৌরসভার চিত্র এমন হয়ে দাড়িয়েছে যে প্রতি ওয়ার্ড ভিত্তিক মাদকের কম করে হলেও একটি আখড়ার সন্ধান পাওয়া যাবে এবং মহল্লার সড়কগুলোতে বিভিন্নপন্থায় দেয়া হচ্ছে মাদকদ্রব্য সেবা। শিশু, কিশোর, যুবক ও বৃদ্ধের মধ্যে নেই কোনো ভেদাভেদ আমাদের এই সমাজে মাদকসেবনে।
এখন যারা মাদকের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে তাদের প্রতিবাদ করার মতো একজন মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না! এর কারন কি? কালো ক্ষমতার হাতেখড়ি? বাবা সন্তানকে বলতে সাহস করছেন না যে তার ছেলে মাদক কারবারি কেন? কারণ সে জানে তার সন্তান সেই ঐশীর মতো বেপরোয়া হয়ে যেতে পারে!
এ এক প্রবহমান আগামীর পথচলা; আমাদের ভবিষ্যৎকে জানান দেয় কি?
সমাজের দায়বদ্ধতার প্রশ্নে আমরা কি ভূমিকা রাখতে পারি? যা আগামীর প্রজন্মের কাছে এবং রাষ্ট্রের একটি দিকনির্দেশক হিসেবে যথাযথ কার্যসাধন গৃহীত হয়?
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।Design & Development : It Corner BD.Com 01711073884.
Leave a Reply