দৌলতখানে নও-মুসলিম মেয়েকে স্বামীর বাড়ী থেকে জোরপূর্বক তুলে নেয়ার অভিযোগ
-
আপডেট সময় :
মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১
-
৩৪৪
০ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ
ভালোবাসার টানে ঢাকা গাজীপুর থেকে ভোলার দৌলতখান উপজেলায় সংসার করতে আসা শ্রাবন্তী মন্ডল ঐশী নামের হিন্দু তরুণীকে স্থানীয় মোড়ল কালাম তুফানি ও আলাউদ্দিন মৃর্ধা ও তার সহযোগিদের সহায়তায় দেড় লক্ষ টাকা খেয়ে জোরপূর্ব সন্ত্রাসীকায়দায় স্বামীর বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় তার পরিবার।
সরেজমিনে জানা যায়, ভোলার দৌলতখান উপজেলার মৃর্ধারহাটের মো. কামরুল নামের এক যুবক ঢাকার গাজীপুরে চাকরি করার সময় ঐশী নামের হিন্দু মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘ দুই বছর প্রেমের বিষয়টি মেয়ের পরিবার জানার পরে মেয়ের উপর নির্যাতন করলে গত ১২ এপ্রিল ভোলায় প্রেমিক কামরুলের কাছে চলে আসে, অতপর গত ১৫ এপ্রিল স্বইচ্ছায়, স্বজ্ঞানে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ে করে। তার নতুন নাম দেয়া হয় জান্নাতুল ফেরদৌস ঘটনায় ঐশীর বাবা শংকর চন্দ্র কামরুলের নামে অপহরণ মামলা করে।
কামরুলের ভাই নুরুজ্জামান অভিযোগ করে জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী কামাল তুফানি নামে একলোক ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে সাদা কাগজে সাক্ষর নিয়ে ঐশীকে জোর করে তার বাবার হাতে তুলে দেয়।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিতে দেখা যায়, শ্রাবন্তী রাণী ঐশী ওরফে জান্নাতুল ফেরদৌস চিৎকার করে বলছিলো, সে তার বাবা-মার সাথে যাবে না, সে তার স্বামী কামরুলের সাথেই থাকবে। এ সময় স্থানীয় এক মেম্বারের পা ধরে কান্না করতে দেখা যায় তাকে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানায়, এটা কোন সভ্য সমাজের কাজ হতে পারেনা। খুবই ন্যাক্কারজনক, হৃদয়বিদারক। একজন হিন্দু মেয়ে ভালোবাসার টানে কোর্ট কাবিনের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে শরীয়ত সম্মত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরেও স¦ামীর বাড়ী থেকে এভাবে নির্যাতন করে কালাম তুফানি ও আলাউদ্দিন মৃর্ধার মতো সন্ত্রাসীরা তুলে নিয়ে যাওয়ার তাদের বিচার চাই।
এদিকে স্বামী কামরুল অভিযোগ করে জানান, আমি যদি অপহর করতাম তাহলে আমি জান্নাতকে নিয়ে লুকিয়ে থাকতাম না। আমি আইন মোতাবেক তাকে বিয়ে করছি। আমার স্ত্রীর ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে। ২০০৩ সালের ৩ মার্চ তার জন্ম তারিক।আমি দেশবাসী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই অন্যায়ের বিচার চাই। আমার স্ত্রীকে আমি ফিরে পেতে চাই এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমি গরীব মানুষ তাই
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) বজলার রহমান জানান, গাজীপুরের একটি মামলায় আমরা মেয়েটিকে উদ্ধার করতে সাহায্য করি। তবে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে পুলিশের উপস্থিতি ছিলো না! এমন প্রশ্নে তিনি জানান, সিভিল ড্রেসে পুলিশ ছিলো।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মেয়েটিকে উদ্ধার করতে সাহায্য করে। মেয়েটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক। আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Like this:
Like Loading...
নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
Leave a Reply