হিজলার মেঘনা নদীতে জাটকা সংরক্ষণ এর অভিযানে দিনের বেলায় নদী কিছুটা ফাঁকা থাকলেও রাত্রের চিত্র উল্টো।
রাত যত গভীর হতে থাকে মেঘনার বুকে তত বাড়তে থাকে জেলে। তার কারণ প্রশাসনিক টিম দিনে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলেও গভীর রাতে তাদের তেমন একটা অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায় না।
এ ব্যাপারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়ন মেঘনাপাড় থেকে শুরু করে বিশাল জলরাশী এই থানার আওতায়।
বিশেষ করে হিজলা গৌরবদি ইউনিয়নের দুই-তৃতীয়াংশই মেঘনা নদীর ভিতর।
ভৌগলিক দিক দিয়ে এখানকার একদিকে পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী জেলা আরেকদিকে চাঁদপুর এবং অন্য পাশে শরীয়তপুরের বর্ডার।
সরেজমিনে কিছুটা মেঘনা পাড়ে ঘুরে দেখা যায় দিনের বেলা অসংখ্য বড় বড় জেলে নৌকা ছোট ছোট খালে লুকিয়ে থাকে। রাত বাড়ার সাথে সাথে তারা ধীরে ধীরে মেঘনার বুকে মাছ শিকারের জন্য নামতে থাকে।
এ ব্যাপারে কয়েকজন জেলেদের সাথে আলাপকালে তারা আমাদেরকে জানিয়েছেন।
দিনের বেলা অভিযানিক টিম গুলো একটু তৎপর থাকে রাত্রে তারা তেমন একটা অভিযান পরিচালনা করে না।
এজন্য আমরা দিনের বেলা মাছ শিকারে বিরত থাকি রাত্রে মাছ শিকারে উদ্দেশে রওনা দেই তাছাড়া রাত্রে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়।
অভিযানের সময় মাছ ক্রয় করা তো নিষিদ্ধ তাই অধিকাংশ আড়ৎ বন্ধ থাকে আপনারা মাছ ধরে কোথায় বিক্রি করেন এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক জেলে এই প্রতিবেদককে বলেন। ভাই রাত্রে যেরকম প্রচুর মাছ ধরার জন্য জেলে থাকে তেমনি আবার মাছ কিনার জন্য ট্রলার নিয়ে প্রচুর পাইকার উপস্থিত থাকে।
তাই আমাদের মাছ বিক্রি করতে কোন অসুবিধা হয় না।
এব্যাপারে হিজলা কোস্টগার্ড কর্মকর্তা মাহবুব রহমান এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে।
তিনি বলেন আমরা যতটুকু পারছি সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছে যাতে কেউ জাটকা নিধন না করে সরকারি আইন মেনে চলে।
আমরা সব সময় তৎপর রয়েছি আমাদের টিম প্রতিদিন নিয়মিত ডিউটি পালন করছে প্রতিদিনই আমরা জেলেদের ধরে জেলে পাঠাচ্ছি এবং তাদের নৌকা জাল আটক করছি।
আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তবে রাতের বেলা জেলেরা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে এরা রাত্রে আমাদের অভিযানিক টিমের সাথে জলদস্যুদের মতো আচরণ করে অনেক সময় আমাদের আক্রমণের শিকার হতে হয়।
তবে স্বীকার করি রাত্রে অভিযান কিছুটা নরমাল থাকে কারণ আমাদের জলযান ও লোকবল সঙ্কট আছে।
তবে বিশিষ্টজনদের মতে গত বছর মা ইলিশ রক্ষা অভিযান ছিল এযাবৎকালের সবচেয়ে প্রশংসনীয়। এর কারণ গত বছর স্থানীয় প্রশাসন ব্যতীত স্পেশাল টিমে মেঘনার পাড়ে অস্থায়ী ক্যাম্প করেছিল।পুরো মেঘনা নদী ছিল তাদের নজরদারিতে ফলে জেলেরা তেমন একটা সুবিধা করতে পেরে ওঠেনি তাদের সাথে।
সেই অর্জন ধরে রাখতে হলে এবারও জাটকা সংরক্ষণ অভিযানে বিশেষ টিম এর ব্যবস্থা করতে হবে মেঘনার পাড়ে তাহলেই কেবল সম্ভব কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা।
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।Design & Development : It Corner BD.Com 01711073884.
Leave a Reply