জীবন-জীবিকার জন্য বাজেটে জায়গা থাকবে: অর্থমন্ত্রী
-
আপডেট সময় :
বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২১
-
৩৪৫
০ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

মানুষের জীবন-জীবিকার জন্য বাজেটে জায়গা করে দেওয়া হবে। এদেশের দরিদ্র মানুষের জন্য আগামী বাজেট নিবেদিত থাকবে। ওরাই অগ্রাধিকার পাবে। বুধবার ভার্চুয়ালি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। বৈঠকে ২২০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ট্রান্সফার সিস্টেম সমস্যার কারণে বিগত সময়ে দরিদ্র মানুষের কাছে টাকা পৌঁছাতে বিলম্ব হয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩৫ লাখ গরিব মানুষকে আড়াই হাজার টাকা করে সরাসরি ট্রান্সফার করা হবে। সরাসরি ট্রান্সফার করতে গেলে সিস্টেম ডেভেলপ করতে হবে। এখন আমরা কাজগুলো করছি। আর একবার যদি সিস্টেমে চলে আসে তাহলে ভবিষ্যতে এর চেয়ে সহজ কাজ আর হবে না। প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন সুতরাং এই আড়াই হাজার টাকা করে বিতরণের কাজ শিগগির শুরু হবে। দেশে আড়াই কোটি লোক দরিদ্র হয়েছে এ সংক্রান্ত গবেষণা রিপোর্টের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে মানুষকে দরিদ্র থেকে বের করে আনা। তাদেরকে মূলস্রোত ধারায় নিয়ে আসব। সেভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আর গবেষণা করে যদি তারা কোনো তথ্য দিয়ে থাকে সেটা পরিসংখ্যান ব্যুরো দেখবে।
করোনাভাইরাসের টিকার সংকট রয়েছে বলে গণমাধ্যমে এসেছে, বৈঠকে এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিছু বলেছেন কি না, জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যে প্রস্তাব ছিল সেটি ১৩ হাজার ৮৮১টি কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য এসেনশিয়াল ড্রাগস থেকে ওষুধ ক্রয়। এর বাইরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করি নাই এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রকল্পও আমাদের সামনে আসেনি।
বৈঠকে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার। তিনি বলেন, খুলনা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১২৪ কিমি. স্যুয়ারেজ পাইপ লাইন, ৩টি স্যুয়ারেজ পাম্পিং স্টেশন ও ১৩ হাজার ৮০০ সার্ভিস কানেকশন নির্মাণকাজের ঠিকাদার নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। এক্ষেত্রে চায়না জিইও ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনকে নিয়োগ দেওয়ার ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। ব্যয় হবে প্রায় ৬৯৭ কোটি টাকা।
এ ছাড়া ভাইটাল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কেনার একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। এজন্য ব্যয় হবে প্রায় ২৬৮ কোটি টাকা। পাশাপাশি মহাসড়কে পণ্য পরিবহনের উৎসমুখে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের প্যাকেজ নং পিডব্লিউ-০২-এর পূর্ত কাজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের নিয়োগের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এজন্য ব্যয় হবে ১৮৮ কোটি ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার ৪৫৬ টাকা।
Like this:
Like Loading...
নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
Leave a Reply