বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক সজল পান্ডে ও তারিকুল ইসলাম বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নাম ব্যাবহার করে হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে নানান ধরনের অপকর্ম ও চিকিৎসক কর্মচারীদের উপর হামলা করে আসছেন।
তত্রসূত্রে আরো জানা যায় যে, সজল পান্ডে ও তরিকুলের নেতৃত্ব এর পূর্বেও একাধিক হামলার শিকার হয়েছেন মেডিকেলের কর্মচারীরা। চলতি বছরের ০২ জুলাই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নুরুল ইসলাম ও দিদারুল নামের দুই ওয়ার্ড বয় কে হোস্টেলের টর্চার সেলে নিয়ে বেধড়ক প্রহর করে। এবং কাউকে না বলার জন্য হত্যা ও গুম করার ভয় দেখায় সজল পান্ডে।
এছাড়াও সজল পান্ডের নেতৃত্ব মেডিকেলের হোস্টেলে চলছে সিট বানিজ্য, বিশাল অংকের মাধ্যমে হোস্টেলের সিট পেতে হয়। হোস্টেল ক্যান্টিন থেকে সজল পান্ডে চাঁদা দিবি করে বলে অভিযোগ।
এছাড়াও তার নামে নানান অপকর্মের সত্যতা পাওয়া যায়, পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এক নার্স বলেন, সজল পান্ডে তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন, এবং ওই নার্স রাজি না হওয়ায় তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায় ।
সম্প্রতি সময়ে সজল পান্ডে ও তরিকুল ইসলাম শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন ইউইনিট-৪ এর সহকারি রেজিষ্টার ডাক্তার মাসুদ খানকে রোগী রাউন্ড থেকে ডেকে এনে তারই অফিস কক্ষে দরজা বন্ধ করে ১০/১২ মিলে হত্যার উদ্দেশ্য বেধরক প্রহর করে এবং এক পর্যায়ে ডাক্তার মাসুদ খানের আত্মচিৎকারে অন্যান্য ডাক্তার ও রোগীর স্বজনরা এলে সজল পান্ডে সহ হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
এসময়ে ডাঃ মাসুদ খানের চিৎকার এর শব্দ শুনে পাশে থাকা ডাঃমাহাফুজ খান এগিয়ে আসলে তাকেও লাঞ্চিত করতে দ্বিধাবোধ করেন নি সজল পান্ডে সহ তার দলবল।
এ ব্যাপারে সজল পান্ডের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি দৈনিক সত্য সংবাদ’কে জানান, তার উপর কোন হামলা করা হয় নি, এসব মিথ্যা ও বানোয়াট।
সজল পান্ডে’কে যেকোন ধরনের প্রশ্ন করা হলেই বলে, আমি সাদিক ভাইর রাজনীতি করি, সাদিক ভাইর সাথেই থাকি,তার সাথে আমার ভাল সম্পর্ক । এমন কথা উপর ভিত্তি করে সজল পান্ডে মেডিকেল ছাত্রলীগের কোনো পোষ্টে আছে কি না জানতে চাওয়া হলে দৈনিক সত্য সংবাদ’কে জানান, কেউ পোষ্ট নিয়ে জন্মায় না, কর্মকাণ্ড দ্বারা পোষ্ট নিতে হয়, এর প্রেক্ষিতে জানতে চাওয়া হয়, ছাত্রলীগের পোস্ট পাওয়ার জন্যই কি ডাঃ মাসুদ খানের উপর হামলা ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়? এসময় নিশ্চুপ থাকতে দেখা যায় সজল পান্ডে কে।
তবে এবার প্রশ্ন উঠে এসেছে, মেডিকেলে ছাত্রলীগের নামধারী ও বিসিসি সুযোগ্য মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নাম বিক্রি করে এভাবেই একের পর এক অপকর্ম ও অন্যায় অত্যাচার করে আসছেন এই সজল পান্ডে।
হাসপাতালের ডাক্তার ও ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের একই প্রশ্ন, সজল পান্ডে’র এতো ক্ষমতার উৎস কি? যার ক্ষমতার দাপটে হাসপাতালে ডাক্তার,নার্স, কর্মচারীরা নিরাপদ না বলে তাদের দাবি ।
Leave a Reply