মৃত্যুদন্ডের রায়ে লিয়াকতের বৃদ্ধ মায়ের কান্নার রোল দুষছেন প্রদীপকে
-
আপডেট সময় :
মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
-
২০৯
০ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

এম মনির চৌধুরী রানাঃ
অবসরপ্রাপ্ত চৌকষ সেনা সদস্য মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় লিয়াকতের মৃত্যুদন্ডের রায়ের খবরে আজ সোমবার পটিয়ার হুলাইনস্থ গ্রামের বাড়িতে কান্নায় ভেঙে পড়েন লিয়াকতের মা রোকেয়া বেগম (৮০)।
তিনি বলেন, তার ছেলে নির্দোষ। ওসি প্রদীপের নির্দেশ পালন করতে গিয়ে আজ তার ছেলে ফাঁসির আসামী। তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে বর্তমানে অনেকটাই শয্যাশায়ী। পরিবারের অন্য সদস্যরা সিনহা হত্যা মামলার রায় শুনতে কক্সবাজার রয়েছেন বলে পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
২০১০ সালে লিয়াকত পুলিশের চাকুরীতে যোগদান করেন। প্রথমে ডিবি, পরে সোয়াত ও অ্যান্টি টেরিরিজম টিমে কাজ করেন। এরপর পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর টেকনাফ থানার অধীনে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রে যোগদান করে। তার দুই ভাই নেভীতে চাকরি করলেও বর্তমানে অবসর জীবনে বেসরাকারি কোম্পানীতে চাকরিরত। এলাকার লোকজন তাদের পরিবারকে শিক্ষিত পরিবার হিসেবে জানে। সিনহা হত্যাকান্ডের আগে তার বিরুদ্ধে এলাকায় কোন অভিযোগ ছিল বলে কোন তথ্য প্রমান নেই বলে জানিয়েছেন পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার।
আজ রায় ঘোষনাকালে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ সিহনা হত্যাকান্ডকে পূর্ব পরিকল্পিত বলে জানান। মামলায় ১নং আসামী লিয়াকত আলী, ২নং আসামী প্রদীপ দাশকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়। এরমধ্যে অন্য ৬জন যথাক্রমে- ওসি প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্ম্মা, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনষ্টেবল সাগর দেব, স্বাক্ষী নেজাম উদ্দিন, নুরুল আমিন ও আয়াজ উদ্দিনকে যাবতজীবন কারাদন্ড দেওয়া হয় এবং বাকী ৭জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের হুলাইন গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এ প্রতিবেদককে জানান, সিনহা হত্যার রায়ের দিন লিয়াকতের পরিবারের লোকজন কক্সবাজারে চলে যান। বিকেলের দিকে রায়ে মৃত্যুদন্ড দেওয়ার ঘোষনা তাৎক্ষনিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে তার বৃদ্ধা মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। শান্তনা দিতে আমিসহ প্রতিবেশীরা তাদেরকে চেষ্টা করি। এসময় প্রতিবেশীরা লিয়াকতের মাকে সান্তনা দিয়ে বলেন উচ্চ আদালতে আপীল করার সুযোগ রয়েছে।
এদিকে তার লিয়াকতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বাইরে শুনসান নীরবতা বিরাজ করলেও ভিতরে মহিলারা কান্নাকাটি করছেন। সেখানে আগত স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে সাক্ষাত দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
Like this:
Like Loading...
নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
Leave a Reply