ইউসুফ আলী সৈকত//মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভার বদরপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এর ঈমামের ফতোয়া নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ঈমামের ফতোয়াটি সমাজের প্রচলিত রীতিনীতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ, বা মানুষের বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন মুসল্লীরা। এছাড়া, ফতোয়ার ভাষা, প্রয়োগের পদ্ধতি, বা ফতোয়া প্রদানকারীর যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে আরো।
এই ফতোয়াটি দেন ওই মসজিদের ঈমাম ও পাতারহাট সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষক মোহাম্মদ রুহুল আমিন। তার ফতোয়াটি হলো সৌদি আরব এর সাথে মিল রেখে বাংলাদেশে ঈদ ও রোজা পালন করা জায়েজ। ঈদুল আজহার আগের দিন জুমার খুতবায় এই ফতোয়াটি দেন তিনি। এ নিয়ে মুসল্লিদের মধ্যে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয় । একপর্যায়ে ঈদের দিন সকালে তিনি তার ফতোয়াটি সঠিক দাবী করে একটা স্ট্যাম্পে লিখিত দেন। সেখানে উল্লেখ করা হয় ফতোয়াটি কেউ খণ্ডাতে পারলে তিনি ঈমামতি ছেড়ে দিবেন। এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জের বিশিষ্ট আলেম ওলামা মেহেন্দিগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফখরুল ইসলাম এর শরণাপন্ন হন। পরবর্তীতে থানার ওসি আগামী মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে আলোকপাত করার দিন ধার্য্য করেন। আলেমদের মতে ফতোয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা সাধারণত ধর্মীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদানে ব্যবহৃত হয়। ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী, ফতোয়া হলো এমন একটি সমাধান যা কুরআন, সুন্নাহ (নবী মুহাম্মদের বাণী ও কর্ম) এবং ইজমা (ইসলামী পণ্ডিতদের ঐক্যমত্য) এর ভিত্তিতে প্রদান করা হয়। তবে, ফতোয়া প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিত।
ইসলামিক বিধান অনুযায়ী, রোজা ও ঈদ পালনের জন্য স্থানীয়ভাবে চাঁদ দেখা অপরিহার্য।
Leave a Reply