মেহেন্দিগঞ্জের লেংগুটিয়া লঞ্চঘাটের ইজারাদার মনির ফরাজি সরকারি বিধিনিষেধ মানছেন না
-
আপডেট সময় :
শনিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২১
-
২০১
০ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধি //
মেহেন্দিগঞ্জ টু ঢাকার মধ্যে নিয়মিত ১০-১৫টি লঞ্চ চলাচল করছে। এদের মধ্যে একাধিক লঞ্চ যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বৃদ্ধি করে প্রতিদিন হাজার-হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। বিশেষ করে মেহেন্দিগঞ্জের জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের লেঙ্গুটিয়া রাস্তামাথার লঞ্চঘাটের ইজারাদারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ নিষিদ্ধ সময়ে জাটকা মাছ লঞ্চে পরিবহনের সহায়তার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১লা এপ্রিল রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় ভোলার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে আসা এমভি জামাল ৯ নামক লঞ্চটি মেহেন্দিগঞ্জের লেংগুটিয়া নৌ-টার্মিনালে ঘাট করেন। স্বরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৫০-৬০ জন ঢাকাগামী যাত্রীর কাছ থেকে ওই ঘাটের ইজারাদার মনির ফরাজির নিয়োজিত মুসা নামের জনৈক্য ব্যাক্তি ২০০ টাকার টিকেট বিক্রি করছেন ২২০ টাকা।
এ ভাবে প্রতিটি যাত্রীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার ফলে যাত্রীরা প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আমরা এখানকার ঘাট ইজারাদারদের কাছে এক ধরনের জিম্মি।
যাত্রীদের সাথে রিতিমত প্রতারনা করে তাদের কাছে থেকে নেওয়া হাজার-হাজার টাকা অতিরিক্ত ভাড়াবাবদ আদায় করে ইজারাদার । এছাড়াও এ সময় নদীর অভয়াশ্রমে সকল প্রকার মাছ ধরা, বিক্রি এবং পরিবহন নিষিদ্ধ থাকলেও ওই ঘাটের ইজারাদারের দায়িত্বরতদের সুবিধা দিয়ে প্রকাশ্যে ঢাকাগামী এমভি জামাল ৯ লঞ্চে বিপুল পরিমাণে অবৈধ জাটকা মাছ পরিবহন করতে দেখা যায়, এক পর্যায় স্থানীয় এক সাংবাদিকের হস্তক্ষেপে লঞ্চের স্টাফরা জাটকা মাছ থাকায় ৭/৮ ঝুড়ি মাছ লঞ্চ থেকে নামিয়ে রাখেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে। মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টরবাইন বলেন এখন রাত অনেক, নদী পেরিয়ে ওই মাছ জব্দ করা সম্ভব নয়। এই বিষয়ে লঞ্চের সুপারভাইজার আনোয়ার বলেন, আমাদের লঞ্চে মাছের ঝুড়ি তোলার পর আমরা যাচাই করে দেখে জাটকা মাছের ঝুড়িগুলো নামিয়ে দিয়েছি। তিনি আরো বলেন লঞ্চের টিকেটের মূল্যে ২০০ টাকা। তবে ২২০ টাকা অনেক সময় কাটা হয়। ঘাটের ইজারাদার’র প্রতিনিধি মুসা বলেন, এখানে আমাদের করণীয় কিছুই নাই, আমি নির্দেশ পালন করছি। স্থানীয় সুত্র আরো বলেন, এই ঘাট দিয়ে অবৈধ কারেন্ট জাল আনা নেওয়া হয়, ইতিপূর্বে এই ঘাট থেকে মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশ কর্তৃক অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করার ঘটনা ছিলো। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ও ঘাট ইজারাদারের এ ধরনের উদাসীনতার কারণে সরকারের নির্দেশনা ভেস্তে যাচেছ। এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহন করা একান্ত প্রয়োজন বলে ভুক্তভোগী যাত্রীরা তাদের মত প্রকাশ করতে গিয়ে এ প্রতিনিধিকে জানান। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব লঞ্চগুলোতে যাত্রী নেয়ার নির্দেশনা থাকলেও অধিকাংশ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তা না মেনে পরিপূর্ন যাত্রী নিয়ে ওই ঘাট থেকে যাত্রা করতে দেখা যায়। এতে করোনা মহামারি কমবে দূরের কথা আরও বৃদ্বি পাচেছ বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। অনির্ধারিতভাবে কিংবা কোন প্রকার নির্দেশনা ছাড়াই লঞ্চে সকল শ্রেণীর যাত্রীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে যাচেছ,বলে অসংখ্য যাত্রীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়। গতকাল সরোজমিনে লেঙ্গুটিয়া নৌ-টার্মিনালে গিয়ে জানা যায় এই ধারা অব্যাহত রয়েছে।
Like this:
Like Loading...
নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
Leave a Reply