চট্টগ্রামে ভোক্তা-অধিকারের বাজার মনিটরিং জরিমানা আদায়
-
আপডেট সময় :
শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২১
-
৩১২
০ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

এম মনির চৌধুরী রানা //
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অর্পিত ক্ষমতাবলে ও জেলা প্রশাসকের সার্বিক সহযোগিতায় অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় কর্তৃক আজ ১৭ এপ্রিল শনিবার নগরীর বায়েজিদ, বাংলাবাজার, গোলপাহাড়, চকবাজার, বক্সিরহাট ও ইপিজেড এলাকায় তদারকি মূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
সকাল ১০টা থেকে পরিচালিত অভিযানে মোট ৮টি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় মোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে জেল পুশ করা চিংড়ি মাছ, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ও ঔষধ ধ্বংস করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্ল্যাহ, সহকারী পরিচালক (মেট্টো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করেন।
এপিবিএন-৯ এর সহায়তায় অভিযান অভিযান পরিচালিত হয়।জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, নগরীর বায়েজিদ বাজারের বরিশাল স্টোরকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ১ হাজার টাকা, ওবায়েদ ফার্মেসীকে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ধ্বংস করা হয়।
গোলপাহাড় এলাকার সিরাজের মাংসের দোকানকে মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় ২ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়।
চকবাজারের আমীর ভান্ডার পোল্ট্রি কে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। চকবাজার কাঁচা বাজারের মিন্টু সওদাগরের মাছের দোকানকে সিলিকা জেল (জেলি) পুশ করা চিংড়ি মাছ বিক্রয় করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে প্রায় ১২ কিলোগ্রাম জেলি দেয়া চিংড়ি মাছ ধ্বংস করা হয়।
পণ্যের মোড়কে মূল্য, উৎপাদন-মেয়াদ না দেয়ায় গ্রিন টি স্টোরকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দিদার মার্কেটের ঘরোয়া শপকে (সুপার স্টোর) মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখা এবং মূল্য ঘষামাজা করে বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রয় করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস করা হয়।
ট্রাকসেল ও কাঁচা বাজারসমূহ পরিদর্শনকালে ভোক্তাসাধারণের মাঝে ভোক্তা অধিকার বিষয়ক লিফলেট বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি বিক্রেতাদের মাস্ক পরিধান করতে, ক্রেতাগণকে মাস্ক পরিধানপূর্বক নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে পণ্য ক্রয় এবং পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রতারিত হলে অধিদপ্তরের হট লাইন নম্বর ১৬১২১ এ অভিযোগ জানাতে অনুরোধ করা হয়। জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান হাসানুজ্জামান।
Like this:
Like Loading...
নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
Leave a Reply