উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ আতঙ্কে! সকল সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি।।
-
আপডেট সময় :
সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২২
-
১৮৯
০ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

আব্দুল কাইয়ুম,কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়ে আতংকে রয়েছে পটুয়াখালী ও পার্শ্ববর্তী বরগুনা জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের সকল শ্রেনীপেশার মানুষ।
তবে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভীড় দেখা গেছে। পর্যটকদের কিছু সময় পরপর মাইকিং করে সতর্কতা সহ সৈকতের আশেপাশে অবস্থান করতে ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা দেখা গেছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ সিত্রাং’র প্রভাবে উপকূলে দিনভর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সাগর কিছুটা উত্তাল হয়ে উঠেছে। আকাশে রয়েছে মেঘের ঘনঘটা। ঘুমোট আবহাওয়ায় বিপদ সংকেত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে উপকুলের দিকে এগিয়ে আসার খবরে বেড়িবাঁধের বাইরে সহ উপকূলে বসবাসরত জেলে ও ছিন্নমুল এবং সকল শ্রেনীর মানুষের মধ্যে ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ক্রমিক নম্বর -০৬ঃ
পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরো সামান্য উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় “সিত্রাং’-এ পরিণত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর এলাকায় (অক্ষাংশ: ১৬.৩° উত্তর, দ্রাঘিমাংশ: ৮৮.২° পূর্ব) অবস্থান করছে। এটি আজ সন্ধ্যা ০৬ টায় (২৩ অক্টোবর, ২০২২) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘণীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত (পুন:) ০৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৫-০৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ঐদিকে প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ১৯টি মুজিবকেল্লা ও ১৫৬ টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সম্ভাব্য বিপদগ্রস্থ মানুষকে সতর্ক করার পাশাপাশি দূর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতার জন্য ঘূর্ণিঝড় প্রস্ততি কর্মসূচি সিপিপি’র ১৫৮ জন টিম লিডারের নেতৃত্বে ৩১৬০ জন সদস্য প্রস্তুত রয়েছে বলে উপজেলা সিপিপি’র সূত্রে জানাযায়।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানাযায়, সম্ভাব্য সিত্রাং ঘূর্নিঝড়ের ফলে উদ্ভুত স্বাস্থ্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য ও চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইউনিয়ন ভিক্তিক কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের সমন্বয়ে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। খাবারসেলাইন, সার্বক্ষনিক এ্যাম্বুলেন্স, প্রয়োজনীয় ঔষধ ও প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সহ এসব মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য ‘ঢাকা টাইমসকে’ বলেন, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরী সভা ডাকা হয়েছে।
###
আব্দুল কাইয়ুম
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী)
তারিখঃ ২৩.১০.২০২২
Like this:
Like Loading...
নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
Leave a Reply