এইচ এম আনিছুর রহমান//
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়নের জাদুয়া গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মোঃ ফয়জুল্লাহ পূর্ব হার্নি গ্রামের দিনমজুর মোঃ হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া আক্তারকে বিবাহ করে। বিবাহের পর থেকেই যৌতুক চেয়ে স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার নীলাকে প্রায়ই মারধর করে।
গত একমাস আগে নীলা তার স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়ি চলে যায়। স্বামী ফয়জুল্লাহ ওই ইউনিয়নের বুড়ির পোল নামক স্থানে একটি মসজিদে চাকুরি করেন। মসজিদের সকল মুসল্লী ঘটনাটি জানতে পেরে ফয়জুল্লাহকে স্থানীয়ভাবে সমাধান করার চেষ্টা করে। কিন্তু ফয়জুল কারো কথাই বুরুক্ষেপ করে না।
এক পর্যায়ে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিলন চৌধুরীর কাছে বিষয়টি খুলে বলেন মেয়েটির বাবা দিনমজুর মোঃ হোসেন। যেহেতু উনি একজন ইমাম তাই স্থানীয় আলেম সমাজ মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, মাওলানা মহিউদ্দিন, সহ বিভিন্ন লোকজন উভয় পক্ষের কথা শুনে মীমাংসার জন্য চেষ্টা করে। সবাইকে বসার কথা স্বীকার করলেও সুমাইয়ার স্বামী ইমাম ফয়জুল্লাহ শালীসীর দরবারে উপস্থিত হয়নি। উল্টো সে বরিশাল কোর্টে স্ত্রী সুমাইয়ার নামে স্বর্ণালংকার চুরির একটি মিথ্যে মামলা করে।
মামলার বিষয়টা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বুড়ির পোল মসজিদের অর্ধশত মুসুল্লিরা অভিযোগ করে ইমাম ফয়জুল্লাহ একজন প্রতারক। তার প্রতারকের কর্মকাণ্ড আমাদের চোখে ধরা পড়ায় আমরা মুসল্লীরা তাকে মসজিদ থেকে বের করে দিয়েছি।
এছাড়াও ফয়জুল্লাহর সাথে সুমাইয়া যখন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় তখন এক লক্ষ টাকা কাবিনে কাবিননামা লিখা হয়। কিন্তু তিনি ওই কাবিননামা বালাম বইতে বিবাহবন্ধনের স্বাক্ষর করার কথা বলে অসুলের ঘরে ১ লক্ষ টাকায় লিখে দেয়।বিষয়টি নিয়ে আরো চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়।
দিনমজুর মোহাম্মদ হোসেন ও তার মেয়ের নামে কোর্টে মামলা করাতে সুমাইয়ার বাবা কাবিননামা উত্তোলন করতে গিয়ে দেখতে পান উসুলের ঘরে ১ লক্ষ টাকা পরিষদ লিখা। বিষয়টি নিয়ে কাজী আব্দুল লতিফ কে জিজ্ঞেস করলে সে প্রথমে হতবঙ্গ হয়ে যায় এবং পরে বলে কাবিনের এক লক্ষ টাকা আপনাদের কাছে নাকি দিয়েছে।
এলাকাবাসী কাজী কে জিজ্ঞেস করলে কাজী স্বীকার করে ওই লেখাটি তার না বালাম খাতা অসুলের ঘরে এক লক্ষ টাকা ইমাম সাহেব লিখেছে। উল্লেখ্য,হোগোলটুলি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা নুরুল ইসলাম সহ একাধিক মাওলানারাও তাকে প্রতারক হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। কারণ বিয়ের কাবিন নামায় এক লক্ষ টাকার দেনমোহর না দিয়ে অসুলের ঘরে এক লক্ষ টাকা নিজ হাতে যে মাওলানা লিখেন সে তো প্রথম থেকেই প্রতারনার পরিচয় দিলেন।
বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এবং এই অসহায়ের দিনমজুর এর মেয়ে মাইয়া আক্তার নিলা নীলা যেন সঠিক বিচার পায় এলাকাবাসীর দাবি।
প্রকাশক ও সম্পাদক : ফয়সাল হাওলাদার।
Copyright © 2025 মেহেন্দিগঞ্জ টাইমস ।। Mehendiganj Times. All rights reserved.