বরিশালে মসজিদ নির্মানে বাধা! প্রতিবাদে রাস্তায় জুম্মা!
-
আপডেট সময় :
শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২২
-
২৪০
০ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বরিশাল নগরীর ২৪ নং ওয়ার্ডের কাজি বাড়ি এলাকায় মসজিদ নির্মানে বাধা দিয়ে সুকৌশলে আদালতকে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি হাসিল করার চেস্টায় রত থাকার অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে। বিষয়টি সমাধান চেয়ে ভুক্তভোগী মুসুল্লি ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্থানীয় কাউন্সিলর ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছে অভিযোগ দেওয়া হলেও বিষয়টি আদালতে গড়ায় স্বাভাবিক ভাবেই কোন স্বীদ্ধান্ত নিতে পারছেন না তারা।তারই পরিপেক্ষিতে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে গতকাল রাস্তায় জুম্মার নামাজ আদায় করে মসজিদে আগত মুসুল্লিরা। এ ঘটনায় তীব্র বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে ঐ এলাকার সাধারণ জনগনের মাঝে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ২৪ নং ওয়ার্ডের কাজি বাড়ির বিভিন্ন ব্যাক্তি এবং এলাকাবাসীর উদ্দোগে ” কাজি বাড়ি জামে মসজিদের নির্মান কাজ চলছিল। তবে পুরো মসজিদ কমপ্লেক্সের মাঝখান থেকে পাশের বসতিদের চলাচলের রাস্তা থাকায় নীচ থেকে রাস্তা ফাঁকা রেখে মসজিদের ২ অংশকে একত্রে রাখার অভিপ্রায়ে ১৬ ফুট উচ্চতার ছাদ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় মসজিদ কমিটি। কিন্তু মসজিদের অদুরে থাকা খালি জমির একটি অংশের মালিক হজরত আলীর পুত্র আবদুল আলীম ছাদ নির্মানে বাধা দেয় এবং বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আদালত উক্ত স্থানে শান্তি শৃংখলা রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। এদিকে মসজিদের চলমান নির্মাণ কাজ বন্ধ হওয়ায় স্থানীয় মুসুল্লি ও এলাকাবাসী তীব্র ক্ষোভে ফেটে পরে যা যেকোনো সময় সহিংসতায় রুপ নিতে পারে। সরজমিনে গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, নির্মান কাজ বন্ধ থাকায় পবিত্র শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায় করতে হাজির হওয়া কয়েকশত মুসুল্লি ক্ষোভে ফেটে পরে। তারা শ্লোগান সহকারে অভিযুক্ত আবদুল আলীমের বিচার দাবি করার পাশাপাশি অবিলম্বে মসজিদের নির্মান কাজ শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে প্রশাসনসহ রাজনীতিবিদদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।এ বিষয়ে কাউন্সিলর শরীফ আনিচুর রহমান বলেন, ইতিপুর্বে আমি মসজিদ নির্মানে বাধা দেয়ার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছিলাম এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি নাজমুল হুদাকে সাথে নিয়ে উত্তেজিত এলাকাবাসীকে শান্ত করে অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে ফোনে তার এই অপতৎপরতা বন্ধ করতে অনুরোধ করেছিলাম।কিন্তু তিনি আমাদের অনুরোধ রক্ষা না করে উল্টো আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। যেহেতু বিষয়টি আদালতে গড়িয়েছে, তাই আদালতকে উপেক্ষা করে আমরা কোন স্বীদ্ধান্তও নিতে পারছি না। তবে আদালতের কাছে আমাদের দাবি থাকবে, সুষ্ঠ তদন্ত পরবর্তীতে অতিদ্রুত মসজিদের নির্মান কাজ শুরু করার অনুমতি প্রদান করা হোক। জানতে চাইলে মসজিদ কমিটির সদ্য পদত্যাগকারী সভাপতি কাজী সোলেমান বলেন, আমরা বর্তমানে আদালত এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরীফ আনিচুর রহমানের সীদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। তবে যেহেতু বিষয়টি ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয়, তাই দ্বায়িত্বশীলদের উচিত হবে সম্ভব সময়ে বিষয়টির সমাধান করা।এ সময় জুম্মার নামাজ আদায় করতে আসা কমিটির সদস্য কাজী সাইফুল বলেন, এখানে একটি টিনের ঘরের মসজিদ ছিল।কিন্তু মুসুল্লিদের স্থান সংকুলন না হওয়ায় স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তির দান করা জমি ও জনৈক ব্যাক্তির আর্থিক অনুদানে নতুন ভাবে পুরুষ – মহিলাদের আলাদা ব্যাবস্থাসহ মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল।কিন্তু কুচক্রী মহল তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য আমাকে এবং সাবেক সভাপতিকে অভিযুক্ত করে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আমরা জেল জুলুম ভয় পাই না।কিন্তু আল্লাহকে ভয় পাই।আমরা চাই অতিশীঘ্র মসজিদের বন্ধ থাকা নির্মান কাজ পুনরায় চালু হোক। এ সময় জুম্মার নামাজে উপস্থিত মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী খলিল বলেন, মসজিদের নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয়ায় আমরা মানব বন্ধন, সড়ক অবরোধসহ ব্যাপক আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলাম।কিন্তু ওমিক্রন মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে এগুলোর উপর বিধিনিষেধ থাকায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা রাস্তায় জুম্মার নামাজ আদায় করলাম।আশা করব,সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবির মুল্যায়ন করবেন।
আর তার ব্যাত্যয় হলে আমরা ইসলাম রক্ষার্থে গনঅনশনের মতো কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবো।অপরদিকে অভিযুক্ত আবদুল আলীমের সাথে রাস্তায় জুম্মা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো অবৈধ। ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা করার চক্রান্ত।
Like this:
Like Loading...
নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
Leave a Reply