
রাজিব তাজ ঃ কোভিড-১৯ (করোনা) ভাইরাস বিশ্বে যখন মহামারী আকার ধারন করে আছে, তখন অফিস আদালত, ব্যাংক-বিমা, লঞ্চ ও বাস সীমিত আকারে খুলে দেওয়া হলেও মানছেন না অনেক প্রতিষ্ঠান।
খেয়া, লঞ্চ, বাস, বিমান ও অন্যান্য পরিবহন সীমিত আকারে খুলে দিলেও তা এখন সীমিত আকার মানছেন না কেউ।
বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সকল ব্যাংক গুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, কোন ব্যাংকে ঢোকার সময় পাপোশে নেই জীবানুনাশক লিকুইড, নেই কোন সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার, গ্রাহকদের মুখে দেখা যায় নি মাস্ক ও হাতে নেই হ্যান্ড গ্লোবস এবং ব্যাংক কর্মকর্তাদের মুখে নেই মাস্ক ও হাতে নেই হ্যান্ড গ্লোবস।
ব্যাংকের কাউন্টারের সামনে থাকা বাধা একটি কলম ব্যবহার করছেন সকল গ্রাহক, আরো দেখা যায় যে, নগদ জমা বা উত্তোলনের পর টাকা গননার সময় থুথুর ব্যাবহার করে অনেক গ্রাহক, যা করোনা ভাইরাস একজন থেকে দ্রুত অন্যজন ছড়ানোর শক্তিশালী এক মাধ্যম।
লক্ষ করে আরো দেখা যায় যে, ব্যাংকে আসার পর চেক বা জমা ভাউচার লেখার সময় মোবাইল ফোন টেবিল বা কাউন্টারের রেখে কাজ সারেন, কিন্তু সেই টেবিল বা কাউন্টারে কোন স্প্রে করা হয় না, যা খুবই বিপদজনক।
সিকিউরিটি গার্ড বা অন্যান দ্বায়িতশীল কর্মকর্তাদের নেই কোন এসবের ব্যাপারে তোড়জোড়।
গ্রাহকদের মধ্যে নেই কোন সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখা, মানছেন না কেউ সিরিয়াল, এক জনের গা ঘেঁষে দাড়িয়ে আছে অন্যজন। মুখে নেই মাস্ক, হাঁচি কাশি ও কথার বলা হয় নিঃসংকোচে।
সাধারন জনগন থেকে শুরু করে শিক্ষত থেকে অশিক্ষত, সরকারী বেসরকারী চাকুরিজীবি, এনজিও কর্মী,স্বাস্থকর্মী, ভাতা ও পেনশনভোগী( যাদের বয়স ষাটোর্ধ) এই রকম অনেক শ্রেনীর মানুষ আসে ব্যাংকে। তাই ব্যাংকের ভিতর কোভিট ১৯ সংক্রমনের ঝুঁকিও অনেক বেশি।
আরো দেখা যায় যে, ব্যাংকে অনেক মহিলা গ্রাহক দেখা যায়, যারা ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে আসে এবং অনেক বৃদ্ধদের ও দেখা যায়, মাস্ক ব্যাতিত।
Leave a Reply