চিকিৎসকের অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের।
-
আপডেট সময় :
মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল, ২০২১
-
২০৫
০ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে চলছে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন। চলমান লকডাউনের মধ্যে গতকাল রবিবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে পরিচয়পত্র চাওয়া নিয়ে চিকিৎসক, পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
সোমবার বিকেলে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বৈশ্বিক অতিমারি করোণা সংক্রমণ রোধে সরকারি আদেশ বাস্তবায়নে গত ১৮ এপ্রিল ঢাকা মহানগরীর এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় মাঠপর্যায়ে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ, হয়রানি ও অসহযোগিতার কিছু চিত্র গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। যা বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ঘটনা পর্যালোচনায় দেখা যায়, ওই স্থানে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে চেকপোস্ট চলাকালে জনৈক চিকিৎসককে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরিচয়পত্র দেখাতে বলেন। কিন্তু তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন; যা একজন পেশাদার ও সচেতন নাগরিকের কাছ থেকে কোনোভাবেই কাম্য নয়। তিনি শুধু ওই পুলিশ সদস্যদের অপমান করেননি, গোটা পুলিশ বাহিনীকে কটাক্ষ ও হেয় প্রতিপন্ন করেছেন; যা মিডিয়ার চিত্রে প্রতীয়মান হয়েছে। শুধু তাই নয়, তিনি নিজ পেশার পরিচয় বাদ দিয়ে অপ্রাসঙ্গিক পরিচয় তুলে ধরে পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন এবং জাতির সামনে পেশাজীবী সংগঠনগুলোকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা করেছেন। ’
বিজ্ঞপিতে আরও বলা হয়, গত ১৪ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদফতরের জারি করা প্রজ্ঞাপনে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসাসেবাসহ অন্যান্য কার্যক্রমে জড়িত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর দাফতরিক পরিচয়পত্র আবশ্যিকভাবে ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও ওই চিকিৎসক তা অমান্য করেছেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তার পরিচয় প্রদান না করে নিজ মন্ত্রণালয়ের আদেশ লঙ্ঘন করেছেন। ’
‘ওই চিকিৎসক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাদানুবাদকালে যে শব্দ প্রয়োগ করেছেন তা অত্যন্ত অরুচিকর ও লজ্জাজনক।
এক পেশার সদস্য হয়ে আরেক পেশার কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি কী ভাষা প্রয়োগ করেছেন, তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়েছে। তিনি কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের তুই বলে সম্বোধন করেছেন। ‘আমি কী সেটা এখন তোদের দেখাচ্ছি হারামজাদা’ বলে হুমকি দিয়েছেন। ’
‘মহান মুক্তিযুদ্ধসহ জাতির প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে বিশেষত চলমান বৈশ্বিক মহামারির এই দুঃসময়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ সর্বজন স্বীকৃত। এ পর্যন্ত কর্তব্যরত অবস্থায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৯১ জন পুলিশ সদস্য শাহাদাতবরণ করেছেন এবং ২০ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।
আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে দেশমাতৃকার স্বার্থে সরকারের যথাযথ নির্দেশনা পালনে পুলিশের প্রতিটি সদস্য বদ্ধপরিকর। নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের জীবন রক্ষার্থে পুলিশ সদস্যরা বৈশাখের এই তীব্র দাবদাহে
Like this:
Like Loading...
নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
Leave a Reply