প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ১২:২৫ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ১৯, ২০২১, ৭:১২ পি.এম
হিজলায় কোস্টগার্ডের মাঝির চাকরি যেনো সোনার হরিণ।

সালমান রোমান //
বাড়িটি হঠাৎ দেখলে হয়তো অনেকে ভাববেন কোন শিল্পপতির বাড়ি।
তবে না বাড়িটির মালিক মোঃ জসিম সরদার যিনি বিগত দিনে বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার কোস্ট গার্ডের অভিযানিক টিমের ট্রলারের মাঝি ছিলেন।
বিভিন্ন অনিয়ম এর কারনে তার এই চাকরি চলে যায়।
এই চাকরিটি কোন রকম এক থেকে দুই বছর করতে পারলেই হয়ে যান বিত্তশালী।
মাঝীদের আয়ের উৎস কি।
এমন অনুসন্ধানে জানা যায়, তাদের বিভিন্ন অপকর্মের চিত্র যেমন মা ইলিশ রক্ষা,দুই মাসের অভয়আশ্রমে জাটকা নিধন অভিযান এবং কারেন্ট জালের উপর সার্বক্ষণিক অভিযানকে কাজে লাগিয়ে জেলেদের কাছ থেকে দৈনিক চাঁদা উত্তোলনের বিনিময়ে প্রশাসন নদীতে অভিযান পরিচালনার আগে অসাদু জেলেদেরকে ফোনে সতর্ক করে দেওয়া এবং যারা টাকা না দেয় তাদের উপর প্রশাসন দিয়ে অভিযান পরিচালনা করে জেলেদের ভেতর আতংক ছড়িয়ে স্বার্থ হাসিল করা।
আবার জেলেদের কাছ থেকে জব্দকৃত জাল অনেক সময় গোপনে আর্তসাৎ করে আবার জেলেদের কাছে বিক্রি করা।
তাছারা গলদা চিংড়ির রেনু পোনা অবৈধ ভাবে ধরে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
এর জন্য দায়ী কিছু অসাদু প্রশাসনে কর্মকর্তা তাদের সাথে সুসম্পর্ক রেখে নিয়মিত চালিয়ে যায় মাঝিগন এইসব অপকর্ম।
তাছাড়া অনেক সময় প্রশাসন মাঝীদের উপর নির্ভর করে নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন তাই কর্তৃত্য মাঝীর কাছেই থেকে যায় আর এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়েই মাসের পর মাস অবৈধ ভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় অভিযানিক টিমের মাঝিরা।
এখন আবার এই সোনার হরিণের চাকরি পাওয়ার জন্য জসিম সরদার নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছেন লভিং দৌড় ঝাপ শুরু করে দিয়েছেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক : ফয়সাল হাওলাদার।
Copyright © 2025 মেহেন্দিগঞ্জ টাইমস ।। Mehendiganj Times. All rights reserved.