1. mdshuvo11167@gmail.com : admin :
  2. faysal.rakib2020@gmail.com : Rakibul Hasan : Rakibul Hasan
  3. faisalhowlader1988@gmail.com : Faisal Howlader : Faisal Howlader
বাঁশখালীতে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ : গুলিতে নিহত ৫ - মেহেন্দিগঞ্জ টাইমস ।। Mehendiganj Times
রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪১ অপরাহ্ন
নোটিশ :
মেহেন্দিগঞ্জে গ্রাম আদালত আরও গতিশীল ও কার্যকর করতে কর্মশালা। মেহেন্দিগঞ্জে বিরোধপূর্ণ জমির গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। মেহেন্দিগঞ্জে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে নজর কেড়েছে সদর ইউনিয়ন ফরিদের নেতৃত্বে মিছিল। কাজিরহাট জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। মেহেন্দিগঞ্জের গোবিন্দপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও পথসভা অনুষ্ঠিত। মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়ায় রাজিব আহসানের ব্যপক গণসংযোগে। কাজিরহাটে মাদকসম্রাট অলিউল্লাহু অলি মৃধা ৪২পিস ইয়াবা ও ৪৫০গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার। কাজিরহাট থানা জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের উদ্যোগে গণসংযোগ। বরিশালের কালিগঞ্জে অনিবন্ধিত জেলেদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ এবং ভোলার বোরহান উদ্দিনে মেডিকেল ক্যাম্পেইন করেছে কোস্ট গার্ড। কাজিরহাট থানায় দুই মাদক ব্যবসায়ীকে ইয়াবা ও গাঁজাসহ গ্রেফতার।
সংবাদ শিরনাম :
মেহেন্দিগঞ্জে গ্রাম আদালত আরও গতিশীল ও কার্যকর করতে কর্মশালা। মেহেন্দিগঞ্জে বিরোধপূর্ণ জমির গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। মেহেন্দিগঞ্জে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে নজর কেড়েছে সদর ইউনিয়ন ফরিদের নেতৃত্বে মিছিল। কাজিরহাট জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। মেহেন্দিগঞ্জের গোবিন্দপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও পথসভা অনুষ্ঠিত। মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়ায় রাজিব আহসানের ব্যপক গণসংযোগে। কাজিরহাটে মাদকসম্রাট অলিউল্লাহু অলি মৃধা ৪২পিস ইয়াবা ও ৪৫০গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার। কাজিরহাট থানা জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের উদ্যোগে গণসংযোগ। বরিশালের কালিগঞ্জে অনিবন্ধিত জেলেদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ এবং ভোলার বোরহান উদ্দিনে মেডিকেল ক্যাম্পেইন করেছে কোস্ট গার্ড। কাজিরহাট থানায় দুই মাদক ব্যবসায়ীকে ইয়াবা ও গাঁজাসহ গ্রেফতার।

বাঁশখালীতে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ : গুলিতে নিহত ৫

  • আপডেট সময় : রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৪৫ ০ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারায় নির্মাণাধীন একটি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শনিবার সকালে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৫ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক শ্রমিক ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য। আহতরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সংঘর্ষের সময় ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়েকটি স্থাপনায় আগুন দেওয়া হয়, চালানো হয় ভাঙচুর।

বেতন-ভাতার দাবিতে আন্দোলনের কথা বলা হলেও পরিকল্পিতভাবে শ্রমিক উসকানির প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। আর কর্তৃপক্ষ বলছে, স্বার্থ হাসিলের জন্য একটি চক্র অপতৎপরতা চালিয়েছে। নিহতদের পরিবারের জন্য তিন লাখ ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার। ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সম্প্রতি ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শ্রমিক সরবরাহের কাজ গন্ডামারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লিয়াকত আলীকে না-দিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানকে দেয় বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ উঠেছে, এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে শ্রমিকদের উসকে দিয়েছেন।

সংঘর্ষে নিহতরা হলেন : গন্ডামারা ইউনিয়নের মাওলানা আবু ছিদ্দিকের ছেলে আহমদ রেজা (৩০), কুমিল্লার চান্দপুর উপজেলার নজরুল ইসলামের ছেলে শুভ (২৬), চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানার অলি উল্লাহর ছেলে রনি (২৮), কিশোরগঞ্জের মিঠামাইন উপজেলার ফালু মিয়ার ছেলে মাহামুদুল হক রাহাত (৩২) ও রায়হান (২৫, তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত পরিচয় মেলেনি)।

আহতদের মধ্যে তিন পুলিশ সদস্যসহ ১৭ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এদের কেউ পায়ে, কেউ হাতে, কেউ বুকে গুলিবিদ্ধ। সবাইকে ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে রয়েছেন-গন্ডামারার হাবিব উল্লাহ, রাহাত, মিজান, মুরাদ, মো. শাকিল মো. কামরুল ইসলাম, মাসুদ আহমেদ, আমিনুল হক, মো. দিদার, ওমর ফারুক, অভি, কায়সার এবং পুলিশ কনস্টেবল আবদুল কাদির, ইয়াসির আরাফাত ও আসাদুজ্জামান।

শ্রমিকরা জানান, বেতন-ভাতা ও রমজান মাসে কাজের সময় কমানোর দাবিতে শ্রমিকদের সঙ্গে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ওই সংঘর্ষ বাধে।

পুলিশ জানায়, হঠাৎ করে বেতন-ভাতার দাবিতে কিছু শ্রমিক ও বহিরাগত মিলে সকাল ৯টার দিকে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ঘেরাও করে। এক পর্যায়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু করলে সংঘর্ষ বাধে পুলিশের সঙ্গে। গুরুতর আহতাবস্থায় অন্তত ৩০ জনকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর মধ্যে পাঁচজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিফ কো-অর্ডিনেটর ফারুক আহমেদ বলেন, ‘লোকাল কিছু ইন্ধন রয়েছে। না-হলে এমন ঘটনা ঘটার কোনো কারণ ছিল না।’ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা বলছেন, এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক। স্থানীয় একটি দুষ্টচক্র নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য শ্রমিকদের অযথা উসকে দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণকাজ বারবার বন্ধ করে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত। আকিজ উদ্দিন নামে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘একটা রাজনৈতিক দৌরাত্ম্য এখানে কাজ করছে। তা না-হলে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা শ্রমিকদের হাতে অস্ত্র থাকার কথা নয়।’

দুপুরে ঘটনাস্থলে আসেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান ও পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা। পুলিশ সুপার বলেন, ‘বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শ্রমিকরা যে দাবিগুলো জানিয়েছে, তার মধ্যে কয়েকটি দাবি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছিল। তবে রমজান মাসে কাজের সময় কমানোর দাবিতে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন শ্রমিকরা। এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নিহত শ্রমিকদের পরিবারপ্রতি তিন লাখ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, ‘গন্ডামারায় নির্মিতব্য এ কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আমাদের দেশের অন্যতম একটি সম্পদ। স্থানীয় কিছু উন্নয়নবিদ্বেষী কুচক্রী মহলের উসকানিতে শ্রমিকরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডবিরোধী ওই চক্রটির সদস্যদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। ঘটনা তদন্তে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চার ও তিন সদস্যের দুটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

যোগাযোগ করা হলে গন্ডামারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী শনিবার সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, ‘এ ঘটনায় আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের একটি ও চীনের দুটি প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের অন্যতম বৃহৎ এ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এ বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছিলেন চার বিক্ষোভকারী। এর কিছুদিন পর আবারও সংঘর্ষে নিহত হন আরও একজন।

বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি বিএলএফের : বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন (বিএলএফ) চট্টগ্রাম জেলা শাখা শনিবারের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে। এদিন নগরীর ওয়াসা মোড়ের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সভা থেকে এ দাবি জানানো হয়। জেলা কমিটির সভাপতি সৈয়দ রবিউল হক শিমুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের মহানগর কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন। জেলা সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন আবু আহমেদ মিয়া, নুরুল আবছার তৌহিদ, এয়াছিন মিয়াজি, আবুল ফয়েজ, ইউছুফ, মো, হাসানা, নুরুল আলম, জাবেদ চৌধুরী প্রমুখ। আনোয়ার হোসেন বলেন,

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ

পুরাতন সংবাদ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।     Design & Development : It Corner BD.Com 01711073884.  
Theme Customized By BreakingNews