নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়নের দুলালিয়া (পাকিস্তান পাড়া)'র সেকান্দর আলী ছেকু দীর্ঘদিন যাবৎ গাজা সেবন এবং গাজা বিক্রি করে আসছেন। টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার গাজা সেবনকারী এবং বিক্রেতাদের সুপরিচিত মুখ। বর্তমানে তিনি হয়ে উঠেছেন গাজার মহারাজা। বর্তমানে ২৫০গ্রামের কম গাজা বিক্রি করেননা। যার বাজার মুল্য কম করে হলেও ১৫হাজার টাকা। তার গাজা সেবন এবং বিক্রিতে নষ্ট হচ্ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া অসংখ্য ছাত্র এবং যুব সমাজ। গাজার ভয়াল গ্রাসে নিমজ্জিত হচ্ছে মেধাবী শিক্ষার্থীরা। করোনা ক্রান্তিলগ্নে ছেকুর ব্যবসা রমরমা। বাবা ছেলে মিলে প্রতিদিন কমকরে হলেও ২থেকে ৪কেজি গাজা বিক্রি করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় লক্ষিন্দর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য চান মাহমুদ জানান, "আমি বহু আগে থেকে জানি সেকান্দর আলী ছেকু গাজা সেবন করেন এবং বিক্রি করেন বলেও শুনেছি। গাজা বিক্রির সময় বেশ কয়েকবার প্রশাসনের হাতে গ্রেফতারও হয়েছেন, জেলও খেটেছেন কয়েকবার। জেল হাজত খাটলেও তার সেবন এবং বিক্রি বন্ধ করেননি সেকান্দর। জেল হাজত থেকে বেড়িয়েই আবার ব্যবসা শুরু করেন।
স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, সেকান্দর বহু আগে থেকেই গাজা বিক্রি করেন বর্তমানে তার ছেলে আহম্মদ আলী এবং স্বপরিবারে মাদকের ব্যবসায় জড়িত।ছেকুর পরিবারের জন্য আমরা আমাদের সন্তান নিয়ে আতঙ্কে থাকি।
স্থানীয় জব্বার আলী(৫৫) জানান, ছেকু গাজাসহ একাধিকবার প্রশাসনের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।এইতো কিছুদিন আগেও ছলিং বাজারে ২কেজি গাজাসহ পুলিশ গ্রেফতার করেছিলো।তার আগেও কয়েকবার গাজাসহ ধরা পড়েছে। কয়েকটি মামলাও আছে তার নামে। বর্তমানে খুচরা বিক্রি কমিয়ে পাইকারি বিক্রি শুরু করেছেন। যার কারনে স্থানীয় ছলিং বাজারের মুদি দোকান বাদ দিয়ে দুলালিয়া (পাকিস্তান পাড়া)বাড়ি করে এখানে মুদি দোকানের আড়ালে পাইকারি গাজার ব্যবসা শুরু করেছে। আমরা আমাদের সন্তান এবং যুব সমাজকে গাজার ভয়াল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং ছেকুসহ এলাকার সকল মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।
প্রকাশক ও সম্পাদক : ফয়সাল হাওলাদার।
Copyright © 2025 মেহেন্দিগঞ্জ টাইমস ।। Mehendiganj Times. All rights reserved.