নিজস্ব প্রতিবেদক || নগরীতে অপরাধকে অপরাধ মনে করছে না চিহ্নিত দুই মাদক ব্যবসায়ী। প্রশাসনের প্রত্যেকটি দপ্তরী রয়েছে তাদের নামে একাধিক মামলা।একাধিক মামলা থাকলেও, মামলাকে তারা মনে করছে ডাল আর ভাত।এই দুই মাদক ব্যবসায়ী হল,নগরীর চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি রোকেয়া আজিম সড়কের বাসিন্দা ফেন্সি হারুনের ছেলে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী শাওন।তার মা বেবির নামও রয়েছে মাদকের একাধিক মামলা।দ্বিতীয় মাদক ব্যবসায়ী হলো,একই এলাকার সুরুজের ছেলে আরাফাত।প্রশাসনের গুটিকয়েক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার সাথে সম্পর্ক রেখে এই অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।নগরীতে চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা পরিচালনা এই সমস্ত কিছুই এই দুই ব্যক্তির সিন্ডিকেটের দ্বারা পরিচালিত হয়। নগরীর টিপু নামের তাদের এক বন্ধু জানান,ওই দুই ব্যক্তি,চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও মাদক ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রশাসনের একাধিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্রশাসনের কালো রংয়ের ওয়াকি টকি ও হাতকড়া (তার ভিডিও রয়েছে) ।তারা বিভিন্ন সময়ে কালো রংয়ের মাইক্রো নিয়ে গাড়ির সামনে পুলিশ লিখে অভিযানে বের হয় ও মাদক এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বহন করে নিয়ে যায়। এই দুই মাদক ব্যবসায়ী কখনো নিজেকে ইন্সপেক্টর, সাব-ইন্সপেক্টর, আবার পুলিশের সোর্স হিসেবে জাহির করে আসছে নগরীতে দীর্ঘদিন যাবত। তবে নগরীতে এক যুবককে হাতুড়ি পিটা করলে। ওই যুবকের ভাই কাউনিয়া থানায় মামলা করলে।একে একে সকল অপরাধ বেরিয়ে আসছে ওই সকল মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য যে,গত ২৯ মার্চ (সোমবার) দুপুর ২ টার সময় কাউনিয়া সোবাহান মিয়ার পুল এলাকায় এ নির্মম হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় নগরীর পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা আয়নাল ব্যাপারীর ছেলে জহিরুল ইসলাম আলামিন নামের যুবককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এ ঘটনায় বরিশাল কাউনিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নাম্বার ১। নগরীর সুশীল সমাজের দাবি করছে জরুরিভিত্তিতে প্রশাসন যদি এই সমস্যার সমাধান না করে তাহলে আরো বড় ধরনের সমস্যা সংঘটিত হতে পারে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : ফয়সাল হাওলাদার।
Copyright © 2025 মেহেন্দিগঞ্জ টাইমস ।। Mehendiganj Times. All rights reserved.