
শহিদুল ইসলাম // চৈত্রের তাবদাহে তৃপ্তি এনে দেয় এক ফালি রসালো তরমুজ। ফলটির চাহিদাও থাকে ব্যাপক। ফলে গ্রীষ্মের ফল হিসেবেও সুপরিচিত তরমুজ। তবে বরিশালের বাজারে বসন্তেই দেখা মিলছে এই ফলটির।কিন্তু এখনও হালকা শীতের আমেজ আর আমদানি কম থাকায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ।এছাড়া দেশে করোনা আতঙ্কে চুক্তি অনুযায়ী তরমুজ চাষিদের কাছ থেকে কিনে আড়ত ফেলে রাখছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলায় তরমুজ চাষ হয়।এরই মধ্যে ভোলা থেকে আসা তরমুজ বাজারে আসতে শুরু করেছে। এবং এ মাসের শেষের দিকে বরিশাল অঞ্চলে উৎপাদিত তরমুজ বাজারে পাওয়া যাবে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।সরেজমিনে দেখা গেছে, গত ১ সপ্তাহ ধরে বরিশাল নগরীর চৌমাথা বাজার, পোর্ট রোড,নতুন বাজার,লঞ্চঘাট,বটতলা বাজার,বাংলা বাজার, সাগরদী বাজার,রুপাতলী সহ বিভিন্ন বাজারে তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে। নগরীর চৌমাথা এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী আবুল কামাল এই প্রতিবেদক জানান, তরমুজ প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৩৫ দরে বিক্রি হচ্ছে। তাতে দেখা যা ছোট বড় এক একটি তরমুজ ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৫০টাকা পর্যন্ত দর পরে যায়।আজ সকালে নগরীর চৌমাথা বাজারে তরমুজ কিনছিলেন জিয়া সড়ক এলাকার বাসিন্দা আয়শা সিদ্দিকা। তিনি বলেন, নতুন ফল তরমুজ দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না,কিন্তু দাম অনেক বেশি হাঁকাচ্ছে এজন্য তরমুজ খাওয়া হচ্ছে না। তবে আমার মেয়ে তরমুজ খুব পছন্দ করে। তাই ফলটি দেখে কিনলাম’।বিক্রেতা বলেন, ‘অন্য বছরগুলোর চেয়ে একটু তাড়াতাড়িতে বাজারে তরমুজ এসেছে’। আবহাওয়া ভালোই ছিলো এ কারনে তরমুজ চাষ করতে অনেক সুবিধা হয়েছে চাষিদের।এ রকম আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার বাম্পার ফলন হবে তরমুজের।আর আমরাও লাভের আশায় পাইকারি দামে কিনে খুচরা বিক্রি করছি। তবে বেচা বিক্রি নেই বললেই চলে। আবহাওয়া গরম হলে বিক্রি জমবে বলে আশা করছেন তিনি।’তিনি আরও জানান, আর কয়েক দিন গেলেই দেশের বিভিন্ন জাতের তরমুজ বাজারে আসবে দামও কমবে।এ অঞ্চলে গরম বেশি পড়ার কারনে তরমুজের ব্যাপক চাহিদাও থাকে।মোকামের ব্যবসায়ীরা জানান,লাভবান হতে ব্যবসায়ীরা মৌসুম জুড়ে তরমুজ ব্যবসায় ঝুঁকছেন। তবে আবারও দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়তে পারেন বলে জানান তারা।
Leave a Reply