প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ৮, ২০২৫, ১২:৪০ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২১, ১২:০৪ পি.এম
বরিশালে ডাল কেটে পঙ্গু করা হলো ১২ কৃষ্ণচূড়াকে
![]()
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল বিএম কলেজের সামনের প্রায় এক ডজন গাছ কেটে ন্যাড়া করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। গত দুই দিন ধরে কলেজ কর্তৃপক্ষ যেসব গাছে ডালপালা-মাথা কেটেছে তার অধিকাংশই কৃষ্ণচূড়া। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
কলেজের সাবেক ছাত্র-শিক্ষকরা দাবি করেছেন, এখনই কৃষ্ণচূড়ায় ফুল ফুটতো। অথচ এগুলো কেটে কলেজের সৌন্দর্য বিনষ্ট করা হয়েছে। মারুফ হোসাইন নামে কলেজের এক সাবেক ছাত্র ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ লিখেছেন, ‘কলেজের কৃষ্ণচূড়া গাছগুলোর ডালপালা এভাবে কাটায় নীরব প্রতিবাদ করছি।’ কলেজের অপর এক ছাত্র লিখেছেন, ‘আমরা যে গাছ দেখে মুগ্ধ হতাম, সেই গাছ কেটে ন্যাড়া করা হয়েছে।
এখন পরিবেশবাদীরা কোথায়! প্রত্যক্ষদর্শী বরিশাল বিএম কলেজের ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি শামিল শাহরুখ তমাল বলেন, ‘কলেজর প্রশাসনিক ভবনের সামনের প্রধান সড়ক লাগোয়া শহীদ মিনার পর্যন্ত ১২টি কৃষ্ণচূড়া গাছের ডালপাটা কেটে ন্যাড়া করে ফেলা হয়েছে। পাশের মসজিদের কর্নারের দুইটি কৃষ্ণচূড়া গাছও ন্যাড়া। এই গাছ কলেজের ঐতিহ্য এবং শোভাবর্ধনকারী। এই বসন্তেই হয়তো ফুল ফোটার সময় হতো।
এই মুহূর্তে গাছগুলো কেটে ফেলায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে ছাত্রদের মাঝে। সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-এর বরিশাল জেলা সভাপতি ও বিএম কলেজের সাবেক অধ্যাপক শাহ সাজেদা বলেন, ‘দীর্ঘ ১৮ বছর আমি কলেজের ওইসব গাছের গোড়ায় মাটি, পানি দিয়েছি। কৃষ্ণচূড়া গাছে এই বসন্তে ফুল ফোটার কথা। অথচ কলেজের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের সব গাছগুলোকে কেটে ন্যাড়া করে ফেলা হয়েছে। এমনভাবে ডজনখানেক গাছ কাটা হয়েছে যে এগুলো আর মাথা সোজা করে দাঁড়াতে পারবে না। অধ্যাপক শাহ সাজেদা আরো বলেন, ‘রাস্তায় লাইটের আলো পড়ে না- এমন কথা কাউন্সিলর বলতেই পারেন। কিন্তু একটি গাছেরও মাথা নেই। এগুলো কাটার আগে তো পরিকল্পনা থাকা উচিত।
অথচ বিএম কলেজ বৃক্ষরোপণ করে দুইবার পুরস্কার পেয়েছে। তবে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘স্থানীয় কাউন্সিলর কয়েকদিন অবহিত করেছেন যে গাছের ডাল রাস্তার ওপর এসে পড়েছে। যেকারণে গাছগুলোর ডাল ছেটে দেওয়া হয়েছে।
নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি কোনো গাছ কাটতে বলেননি। তারের ওপর কিছু ডাল পড়েছিল সেগুলো ছেটে দিতে বলা হয়েছে। তাছাড়া তিনি তো বিএম কলেজের প্রশাসক নন যে, তার কথায় কলেজের গাছ কেটে ন্যাড়া করে ফেলা হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : ফয়সাল হাওলাদার।
Copyright © 2025 মেহেন্দিগঞ্জ টাইমস ।। Mehendiganj Times. All rights reserved.