
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দীর্ঘ দিন যাবৎ সারা বিশ্ব করোনা মহামারীতে ভুগছে। বিশ্বের প্রতিটা দেশ এখন অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ এর বাহিরে নয়। কিন্তু বর্হিবিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশে এই অর্থনৈতিক মন্দা বেশি জেঁকে বসেছে। দেশের বেশিরভাগ পরিবারের এক মাত্র অর্থনৈতিক সোর্স বন্ধ হওয়ার কারনে তিন বেলার খাবার যোগাতে পারছে না। সেখানে দেশের বেশির ভাগ স্কুল-কলেজে ভর্তির নামে ফি আদায় করা হচ্ছে।
বরিশালে জগদীশ সারস্বত গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ এ ভর্তির নাম করে বাণিজ্যে লিপ্ত হয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারা প্রতিষ্ঠানের পুরাতন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তির নাম করে ২৩৯০টাকা এবং নতুন শিক্ষার্থীদের নাম করে ২৫৯০টাকা করে নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোন কর্ণপাত না করে তারা তাদের শিক্ষা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে একজন অভিভাবক স্থানীয় এক গণমাধ্যমকে জানান, তার জানা মতে ভর্তি হতে কোন টাকা লাগার কথা নয় কিন্তু মেয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ভর্তির জন্য ২৩৯০টাকা জমা দিতে হবে। স্বামী গাড়ি চালক। তাহলে কোথা থেকে এতটাকা আসবে।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বরিশাল জেলা সংসদ এই শিক্ষা বানিজ্যকে কখনই সমর্থন করে না। এ বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বরিশাল জেলা সংসদের সভাপতি প্রদীপ কুমার দাস(রাহুল) বলেন, “জগদীশ সারস্বত গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে যে শিক্ষা বানিজ্য করছে তা কখনই মেনে নেয়ার মত নয়। এ বিষয় নিয়ে কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই জবাবদিহিতা করতে হবে। আমরা সর্বদা শিক্ষার্থীদের পাশে রয়েছি”। সাধারন সম্পাদক জয়দেব সাহা বলেন, “যদি এ বিষয়ে প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কথা না বলেন বা জবাবদিহিতা না করেন তাহলে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বরিশাল জেলা সংসদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কর্মসূচির ঘোষনা দেব”। এ বিষয়ে বরিশাল জেলা সংসদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাকিব হাওলাদার বলেন, “বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সব সময় এই শিক্ষা বানিজ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার। কেন তারা এই টাকা নিচ্ছে? এত বড় অঙ্কের টাকা কোথায় যাচ্ছে? এখন পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না?- তার জবাবদিহিতা কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে করতে হবে”।
Leave a Reply