
বরিশাল প্রতিনিধি : বরিশাল জেলার উজিরপুর হাজী তাহের উদ্দিন ইসলামিয়া কলেজে হাসান নামে একজন কর্মচারী অষ্টম শ্রেনীর ভূয়া সনদ দেখিয়ে এম এলএসএস পদে চাকুরী ২৭ বছর যাবৎ চাকুরী করছে । বিস্ময়কার বিষয় হচ্ছে, তার ওই ভূয়া সনদটি ও প্রকৃত জন্ম তারিখ মেলালে দেখা যায়, পিতার মৃত্যুর ১৫ বছর পর জন্ম হয়েছে দুর্নীতিবাজ ওই কর্মচারী হাসান লাল’র। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ নিলেও পেরে উঠছেন না কলেজটির অধ্যক্ষ আনিসুর রহমানের কারনে। অভিযোগ উঠেছে,অসাধু কর্মচারীর বেতন থেকে অর্ধেক পরিমান ভাগ নেন অধ্যক্ষ।
শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও মাধ্যমিক- উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ৩০৭/৮ স্মারক নম্বরের তদন্তপূর্বক একটি নোটিশে দেখা যায়,উজিরপুর ওটরা এলাকার মরহুম আহম্মদ আলীর পুত্র মো:হাসান ওরফে হাসান লাল মিয়া ৪র্থ শ্রেনী পদে ভূয়া সনদে চাকুরী করছেন। পাশাপাশি বিষয় গোপন রাখতে হাসান লাল তার বেতনের টাকার অর্ধেক পরিমান টাকা অধ্যক্ষ আনিসুর রহমানেকে ভাগ দিচ্ছেন। বিষটির সত্যতা হিসেবে সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে একটি দলিলে দেখা গেছে ১০-০২-১৯৫৯ সালে হাসানের মা আমেনা বেগম হাসানকে নাবালক দেখিয়ে ১.৫একর জমি বিক্রয় করেন। সেই দলিলে দেখানে হয়েছে হাসানের বাবা মারা গেছে০৩-০৮-১৯৫৮ তারিখে মারা গেছেন এবং হাসান ০১-০১ ১৯৫৪সালে জন্ম গ্রহন করেন। অথচ চাকুরী নেওয়ার সময় ওটরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে থেকে ১৯৯৪সালে নেওয়া ৮ম শ্রেনির সার্টিফিকেটে বয়স দেখানো হয়েছে ০১-০৪-১৯৬৯সাল। তাই তার মায়ের বিক্রিত জমির দলিল হিসেবে প্রমান করে হাসান লালের স্কুল সনদ ভূয়া । সে ওই স্কুলে কখনো পড়ালেখা করেনি। এ বিষয়ে হাসান লাল সাংবাদিকদের বলেন আমার সনদ ভূয়া হলেও কেউ ব্যবস্থা নিতে পারবে না। কারন আমি অধ্যক্ষকে ম্যানেজ করে চাকুরি করি। অপরদিকে হাজী তাহের উদ্দিন ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান বলেন,আমি হাসান লালের বেতনের টাকার কোন ভাগ নেই না। তবে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিলে আমি বেতন দেওয়া বন্ধ করে দেব। আর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে যদি কলেজে অভিযোগ দেয় তাহলে কমিটির মিটিং এ উঠাবো। তবে এ বিষয়ে কলেজ কমিটির সাবেক সদস্য মাহাবুব বলেন,অধ্যক্ষ’র খামখেয়ালী পনার কারনে কোন ব্যবস্থা নিতে পারিনি।
Leave a Reply