মঠবাড়িয়ায় কে,এম লতীফ ইনস্টিটিউশন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ।
-
আপডেট সময় :
শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০
-
৩১৩
০ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

হারুন অর রশিদ //
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে,এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আজ শনিবার বেলা ১১ ঘটিকায় হোটেল মোগলে জাতীয় দৈনিক স্থানীয় পত্রিকায় ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত অর্ধ শতাধিক সংবাদ কর্মীর সামনে লিখিত অভিযোগ পাঠ করে সহকারি প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারী ১৭ ইং তারিখে প্রধান শিক্ষক যোগদানের পর থেকে নিজের খামখেয়ালীর মত কাজ করে দীর্ঘদিনে সুনাম ধারণ করা স্কুলটির সুনাম বিসর্জন দিয়েছেন ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির যাতাকলে পিষ্ট করে। ২০ মাস ধরে ফান্ড শুণ্যের অযুহাত দেখিয়ে শিক্ষক কর্মচারীদের সকল সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দেয়া, অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন কাজ তদারকীর নামে তিনি সহ তার আজ্ঞাবহ কয়েকজন শিক্ষকের নিয়মিত অর্থ আত্মসাত, যে সকল খাতগুলো থেকে ভুতুরে ভাউচার করে খুব অল্পদিনেই তিনি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ডোনারশিপ বিক্রি, ১৬শত শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন, মাধ্যমিক সনদ বিক্রি, নিন্ম মাধ্যমিক সনদ বিক্রি, স্টল ভাড়া, ভর্তি ফি, ফরম ও প্রশংসা পত্র, শিক্ষক কোয়ার্টার ভাড়া, পুরাতন পরীক্ষার খাতা বিক্রি, গ্রাচ্যুইটি, আপ্যায়ন খরচ, উৎসব ভাতা, বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ১৮-১৯ অর্থ বছরের সাংস্কৃতিক মন্ত্রনালয়ের অনুদানকৃত ২লাখ টাকা আত্মসাত, বিদ্যালয়ের ৬৫০টি স্টল রয়েছে, যেগুলো শুরুতে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে স্টল গ্রাহকদের কাছ থেকে নেয়া হলেও পরবর্তীতে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা করে নেয়া হয়। সে হিসাব অনুযায়ী ব্যাংকের হিসাব শাখায় কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা থাকার কথা থাকলেও সে ফান্ড বর্তমানে শুণ্য। ঐতিহ্যবাহী মুসলিম হোস্টেলটির নমুনা পরিবর্তন করে স্কুলের অর্ধকোটি টাকা খরচ করে বিলাস বহুল বাস ভবন নির্মাণ করে ছাত্রাবাসের কার্যক্রম চিরতরে বন্ধ করে দেন। গতবছর ছাত্র-ছাত্রীরা তার বিরুদ্ধে লাথি মারার অপরাধে প্রকাশ্যে আন্দোলনে নেমেছিল। একপর্যায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে তা নিরসন হয়। তার দুর্নীতি ধামাচাঁপা দিতে কথায় কথায় শিক্ষকদের হারামখোর, ফাকিবাজ, অযোগ্য, অথর্ব বলে গাল মন্দ করেন। এক কথায় মঠবাড়িয়ার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফাউন্ডার ও প্রতিথযশা সর্বজন গ্রহনযোগ্য অভিভাবক খাঁন সাহেব হাতেম আলীকে স্বাধীনতা বিরোধী বলে বিভিন্ন মহলে উস্কে দেন। ২৬ জানুয়ারী ২০ ইং তারিখে ভোটার তালিকা চুড়ান্ত ফেব্রæয়ারী মাসের ১১ তারিখ ছাত্র ভর্তি করিয়ে পরিকল্পিত ভাবে নির্বাচন বাঞ্চালের জন্য মামলা করতে সহায়তা করেন। প্রতিষ্ঠানটির অর্থ আত্মসাতের জন্য মামলাবাজ আমির সিরাজি নামের এক মামলাবাজকে দিয়ে পিরোজপুর জর্জ কোর্টে মামলা পরিচালনা করাচ্ছেন। শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের আয় ব্যায়ের হিসাবের স্বচ্ছতা সহ সকল শিক্ষক কর্মচারীদের বিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত সকল বকেয়া টাকা পরিশোধ এবং দ্রত ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করার দাবী জানান। প্রধান শিক্ষক কে,এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গুলো মিথ্যা ও বিত্তিহীন। স্টল ঘরের অর্থ দিয়ে দুটি মসজিদ, স্টেইজ, একাডেমিক ভবন ও শিক্ষকদের বাস ভবন নির্মান করা হয়েছে। অর্থ আত্মসাতের কোন প্রশ্নই আসে না।
Like this:
Like Loading...
নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
Leave a Reply