হিজলায় মাঝির চাকরি পেতে মরিয়া জসিম সিন্ডিকেটের লোক
-
আপডেট সময় :
বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১
-
৪৬৮
০ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক //
বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার নদীবন্দরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর মাঝির দায়িত্বে থাকা জসিম সরদার’র চাকরি চলে যায় অনেক আগেই দুর্নীতির কারণে।
কিন্তু সেই দুর্নীতিবাজ জসিম সরদার এর ভগ্নীপতি মোহাম্মদ সোলেমান ব্যাপারি আবার সেই দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে জানা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জসিম সরদার বিভিন্ন অন্যায়-অনিয়ম ও জেলেদের থেকে চাঁদা উত্তোলন নদীতে রেণুপোনা ধ্বংস অবৈধভাবে জাটকা নিধনসহ নানান ধরনের দূর্নীতি ও অপকর্মের সাথে ওতপ্রতভাবে জড়িত।
এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অপকর্ম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল এই জসিম সরদার। তিনি আজ প্রায় কোটি টাকার মালিক। এত কিছুর পরেও এই জসিম সিন্ডিকেটের কাছে আবার জিম্মি হতে যাচ্ছে হিজলার কোস্ট গার্ডের মাঝির দায়িত্ব।
কোস্ট গার্ডের থাকা অবস্থায় জসিম সরদারের চাকরি চলে যাওয়ার পরেও কখনো তার ভাই সবুজ সরদার, কখনো তার বোন জামাই জাহের বেপারী মাঝির দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন।
মাঝখানে দুই বছর খলিল সরদার নামে অন্য একজন এই দায়িত্বে থাকার পরে আবার এই সোনার হরিণ খ্যাত চাকরিতে অধিষ্ঠিত হতে যাচ্ছেন জসিম সরদার সিন্ডিকেটেরই লোক এমনটাই শোনা যাচ্ছে বিশ্বস্ত সূত্র থেকে।
এলাকার সাধারণ জনগন ও জেলেদের প্রশ্ন, তাহলে কি হিজলার মেঘনা নদীর কর্তৃত্ব আবার জসিম সিন্ডিকেটের হাতে যেতে চলেছে, তাই যদি হয় তাহলে মেঘনা নদীতে আবার রাম রাজত্ব কায়েম করবে এই সিন্ডিকেটের মুল হোতা জসিম সরদার। এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় জেলেরা।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন দীর্ঘদিন যাবৎ, কিন্তু এসব চাদাবাজ মাঝিদের কারনে অনেক সময় কলংকিত হতে হয় এই বাহিনীকে।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে কথা বলার জন্য জসিম সরদার জানান, আসলে আমি একা তো করি না, তাছাড়া অনেকেই করে, তবে জসিম সরদার এই প্রতিবেদককে ব্যাক্তিগত ভাবে দেখা করার কথা বলে প্রমান রয়েছে।
হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বকুল চন্দ্র কবিরাজ জানান, এমন অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রমান পেলে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
কোস্ট গার্ডের স্টাফ অফিসার( অপারেশন) দক্ষিন জোনের লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম আকিল জাকী (এক্স) বিএন জানান, অনিয়ম ও দূর্নীতির কারনে কোন মাঝির চাকরি চলে গেলে পরবর্তীতে তার চাকরি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। এবং নতুন চাকরির নিয়োগে পুলিশ তদন্ত করে এরপর নিয়োগ দেওয়া হবে। কোন অনিয়ম দুর্নীতির প্রমান পেলে নিয়োগ হবে না।
Like this:
Like Loading...
নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
Leave a Reply